আশাশুনি সদরের হাড়িভাঙ্গা মৎস্য সেট (পূর্ব পাশ) চত্বরে চিংড়ীতে পুশ বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ব্যবসায়ী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে মৎস্য ব্যবসায়ীদের আহবানে পুশ বিরোধী প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তাগণ বলেন, এ বছরের শুরু থেকে মৎস্য সেটের উভয় পাশের ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে সেটের কোন ব্যবসায়ী চিংড়ীতে পুশ হতে দেবেনা মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সিদ্ধান্ত হয়, মৎস্য সম্পদ রক্ষা করতে এবং নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে কোন প্রকার পুশ বা অনিয়ম এই সেটে হতে দেওয়া হবেনা। সেটে যে সব ব্যবসায়ী মাছ ক্রয় করবেন তারা দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সেটেই মাছ সংরক্ষণ করবেন। এবং পুশের সুযোগ না দিয়ে মাছ কোম্পানীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন। সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুরু থেকে ভালভাবেই কাজ চলে আসছিল।
চিংড়ীতে কোন রকম পুশ বা সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি কিছু কিছু ব্যবসায়ী মাছ ক্রয় করার পর সকাল ৯ টার মধ্যে চিংড়ী মাছ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে বা তাদের নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে পুশ করছে। তারা জেলি, ময়দা, ফিটকিরি, পটাশ গলানো পানি পুশ করছে। পরে পুশকৃত মাছ পাশের উজিরপুর বাজারসহ বিভিন্ন মাছের সেট বা বাজারে নিয়ে বিক্রী করছে। গত (৭ জুলাই) ব্যবসায়ী সঞ্জয় ও তপু পুশকৃত মাছ কোম্পানীতে নিয়ে গেলে ধরা খেয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতি ক্যারেটে ৩ কেজি করে ছাড় দিয়ে বিক্রয় করতে বাধ্য হয়।
কিছু অসাধুু ব্যবসায়ীর কারণে হাড়িভাঙ্গা সেটের সৎ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিরমুখে পড়েছে। এমনকি পুশ মাছ বিক্রয়ের সুযোগ পাওয়ায় অনেকে এই সেটে মাছ আনা থেকে বিরত থাকতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে মনিরুল ইসলাম গাজী ও ইসলাম গাজীসহ অন্যরা পুশ কারবারের প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে পুশকারবারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বক্তব্য রাখেন।
ক্যাপশান: আশাশুনির হাড়িভাঙ্গা মৎস্য সেটে পুশ বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বক্তব্য রাখছেন ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম ও ইসলাম গাজী।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]