আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলা সদরে মানিকখালী চর গ্রামে মরিচ্চাপ নদীর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাছে ৪ শতাধিক পরিবার। চর গ্রাম জামে মসজিদ সংলগ্ন প্রায় ২০০ ফুট ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ মেরামতে সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সোমবার সকালে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সাথে কথা বলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জামায়াত নেতা আমীর হামজা খোকন বলেন, মরিচ্চাপ নদী খননের জন্য ভাঙনস্থলে আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ করা হয়। চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাপাত্তা হয়ে যায়। পানি সরবরাহ না থাকায় বিগত দু'বছর ধরে লোনাপানির জন্য বুধহাটা, আশাশুনি ও শোভনালী ইউনিয়নের চিংড়ি চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আসছে। ফলে কয়েক মাস আগে স্থানীয় লোকজন বাঁধটিজ কেটে দিয়ে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করেন। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ কাটার কারণে জোয়ার ভাটার সময় বাঁধ এলাকায় প্রায় ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ভাঙনের কবলে পড়েছে।
স্থানীয় শ্রমিক রেজাউল ইসলাম বলেন, চরভরাটি এ এলাকাটি আশাশুনি সদরে হলেও এর অনেকাংশ বুধহাটা ইউনিয়নের জমি।
তিনি আরও বলেন, বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু ভাঙন রোধে একটি রিং বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কিন্তু গত ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অনতিবিলম্বে ভাঙন এলাকায় টেঁকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে আমাদের প্রায় ৪ শ পরিবার ভেসে যাবে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন।
আশাশুনি উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার ঘটনাস্থলে আতঙ্কিত শতশত নারী-পুরম্নষের উদ্দেশ্যে বলেন, মরিচ্চাপ নদীর এ বাঁধটি ভেঙে গেলে চাপড়া ও আশাশুনি মৌজার ৪ শ' ভূমিহীন পরিবার পস্নাবিত ও গৃহহীন হয়ে পড়বে। বাঁধটি এতটাই গুরম্নত্বপূর্ণ যে মানিকখালী ভূমিহীন পলস্নী ভাসিয়ে উপজেলা পরিষদ আক্রান্ত হতে পারে। সংশিস্নষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা তৎপর না হলে নদী ভাঙনে চরের ভূমিহীন পলস্নী সহ উপজেলা সদরের নকশা বদলে যাবে। উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়কে অবহিত করা হয়েছে। উনি সরজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে জানিয়েছেন।
এসময় উপজেলা জামায়াতের অফিস সেক্রেটারী মাওলানা রম্নহুল কুদ্দুস, সদর ইউনিয়নের আমীর হাফেজ আব্দুলস্নাহ, রোকন বাবলুর রহমান, জামায়াত নেতা হযরত আলী সরদার, আমীর হামজা খোকন, জিয়াউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মোমেন আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]