জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার আশুলিয়ায় ছয়জনের লাশ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আবজালুল হক রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রুভার) হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে তিনি এ সংক্রান্ত আবেদন করলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ তা গ্রহণ করে।
পরে সাংবাদিকদের প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম জানান, শেখ আবজালুল হক নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেছেন। ট্রাইব্যুনাল শর্তসাপেক্ষে সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ সত্য প্রকাশের শর্তে আবেদনটি গৃহীত হয়। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি হাজতেই থাকবেন এবং উপযুক্ত সময়ে সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থিত হবেন।
এর আগে আজ ট্রাইব্যুনালে শুনানি চলার সময় এই মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দোষ মৌখিকভাবে স্বীকার করে নেন আশুলিয়া থানার সাবেক এসআই শেখ আবজালুল হক। একই সঙ্গে তিনি মৌখিকভাবে অ্যাপ্রুভার হওয়ার আবেদন করেন। এর পাশাপাশি আবজালুল হকের আইনজীবী শেখ মুস্তাভী হাসান একটি লিখিত আবেদনের মাধ্যমেও দোষ স্বীকার ও অ্যাপ্রুভার হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন। তবে সেই আবেদনে ত্রুটি ছিল।
তখন ট্রাইব্যুনাল আবজালুল হকের অ্যাপ্রুভার হওয়ার আবেদন আজ বেলা ২টার মধ্যে করতে বলেন। একই সঙ্গে এই আসামির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনাও দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শেষ হয়।
তারপর বেলা ২টার দিকে আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
এই মামলায় ১৬ জন আসামি। এর মধ্যে গ্রেপ্তার আটজনের মধ্যে একজন রাজসাক্ষী হলেন। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এই মামলায় সূচনা বক্তব্যের দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে এই মামলায় আসামি সাবেক আইজিপি মামুন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান পলাতক। আর গ্রেপ্তার সাবেক আইজিপি মামুন রাজসাক্ষী হন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]