বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচন ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এ সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। তাদের পুরোনো লক্ষ্য বাকশালের ন্যায় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
শনিবার শেরেবাংলা নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিদেশে তাদের যে ভাবমূর্তি ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই ভাবমূর্তি তারা আবার ঠিক করতে চায়। কিন্তু এবার জনগণ জেগে উঠেছে। আমরা বিশ্বাস করি- জনগণ তাদের আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এদের পরাজিত করবে। সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।
বিএনপি কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র এবং কাউন্সিল পদে কোনো প্রার্থী থাকবে না বিএনপির।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল প্রমুখ।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে: ফখরুল
সুচিকিৎসার জন্য সরকার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বেগম জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে দোয়াও করেন।
তিনি বলেন, সরকার জনগণের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে না বলেই নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ে ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলনের জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন বিএনপি মহাসচিব।
এদিকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে নেয়া হবে।
বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বিকেলে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে রওনা হবেন খালেদা জিয়া। সেভাবে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ বেগম জিয়া গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেদিনই আবার তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন।
এর আগে গতবছরের শুরুর দিকে প্রায় তিনমাস হাসপাতালে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেবার তার হার্টে রিং পরানো হয়েছিল। এছাড়া তিনি আর্থাইটিস, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে আছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার।
পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি মেলার পর থেকে তিনি গুলশানের বাসাতেই থাকছেন।
সবশেষ গত ২৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]