ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ভারত ও চীন ‘খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে’ বলে দাবি করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
তিনি বলেছেন, ‘বর্তমানে অর্থনৈতিক অবস্থা চরম আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার জন্য চীন ও ভারতে তারা (আওয়ামী সরকার) ভিক্ষা করতে গিয়েছিল। তাদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, আওয়ামী লীগ এখন দুই নৌকাতে পা দিয়েছে। তাদের পক্ষে এই অবস্থা থেকে বের হওয়া সম্ভব না।’
শনিবার রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এক সংবাদ সম্মেলনে অলি এসব কথা বলেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমানসহ এলডিপির সিনিয়র নেতারা।
এর আগে শুক্রবার এলডিপি নেতাদের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে হয়। ওই বৈঠকের প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করতেই বিএনপি নেতারা এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। সেখানে অলি আহমদের সঙ্গে আন্দোলনসহ আগামী দিনের করণীয় নিয়ে বিএনপি নেতারা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন বলে জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে চীন খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে দাবি করে অলি বলেন, ‘যার জন্য সময়ের আগে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। বাংলাদেশের অবৈধ সরকারকে কোনো সম্মান দেওয়া হয়নি। এটা ওনার অপমান না, বাংলাদেশের ওপর একটা আঘাত। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো যুক্তি নাই। কারণ, তারা ১৫ বছর অন্যায়ভাবে ক্ষমতা ধরে রেখেছে। টাকা লুটপাট করছে। ’
তিনি বলেন, ‘দেশে চরম অবস্থা বিরাজ করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণের জীবনে দুর্বিষহ নেমে এসেছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো সামঞ্জস্য নেই। যার কারণে মানুষ অতি কষ্টে জীবনযাপন করছে। এরমধ্যে সরকারের বড় বড় কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বের হচ্ছে। যাদের নাম বের হয়েছে বা আগামীতে বের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এরা সবাই সরকারের মদদপুষ্ট। সরকারের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। নিশিরাতের নির্বাচন ও গোপন কক্ষের নির্বাচনের সঙ্গে তারা জড়িত। ’
কোটা প্রসঙ্গে অলি বলেন, ‘সার্টিফিকেট দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বানানো হচ্ছে। তাদের ছেলেমেয়ে, নাতিরা চাকরি পাচ্ছে। এখানে সাধারণ লোকেরা বঞ্চিত হচ্ছে। মেধার ভিত্তিতে পদায়ন হচ্ছে না। এতে দেশ মেধাশূন্য হচ্ছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে যাওয়ার হিড়িক পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে গাদা-ঘোড়ারা দেশ পরিচালনা করবে।’
‘সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির’ অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে টাকা লুণ্ঠন করেছে, লাখ লাখ কোটি টাকা লুট করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ঋণ হচ্ছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের উপরে। এই ঋণ পরিশোধ করা সরকারের পক্ষে সম্ভব না।’
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]