ভারত-বাংলাদেশ সীমানাবর্তী ইছামতী নদীর দেবহাটার নওয়াপাড়া সীমান্তের নিষিদ্ধ এলাকা থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করায় ৩ ব্যক্তিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ৩ টি বালু বোঝাই নৌকা জব্দ সহ তিন ব্যক্তিকে আটক করে জরিমান আদায় করে ভ্রাম্যমান আদালত। আটককৃতরা হলেন, বসন্তপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে ইয়াসিন আলী, একই এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে আব্দুল হালিম, ধোপাডাঙ্গা গ্রামের আলমবারীর ছেলে আল-আমিন।
জানা গেছে, ইছামতি নদী ভাঙ্গন রোধে চলতি বাংলা সনের বৈশাখ মাস থেকে দেবহাটা সীমান্তে বয়ে চলা ইছামতি নদীর বালু উত্তোলন ইজারা বন্ধ করে প্রশাসন। তবে কালিগঞ্জ উপজেলার খানজিয়া সীমান্তের বালু চর ইজারা নিয়েছেন দেবহাটার নওয়াপাড়ার বাবলু আফসার নামের একব্যক্তি। আটকৃতরা ওই চরে বালু কাটার নাম করে নিষিদ্ধ এলাকা থেকে দিনের পর দিন বালু উত্তোলন করে আসছিল। তাছাড়া সাম্প্রতিক দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদলী হওয়ায় সুযোগ কাজে লাগিয়েও চোরাই ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল আটক হওয়া চক্রটি। এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাতুল ইসলাম গোপন পাহারা বসান। শনিবার অফিস ছুটির দিন ভেবে সকাল থেকে মনের আনন্দে ৩টি বড় ইঞ্জিন চালিত ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে ফেরার পূর্বেই প্রশাসনের জালে ধরা পড়ে বালু উত্তোলনকারীরা।
পরে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাতুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু ও মাটি মহল ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ১১ ধারা ভঙ্গে ১৫ ধারায় জরিমানা আদায় করেন। এসময় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে জরিমানা দিয়ে মুক্তি পায় আটক ৩ ব্যক্তিরা।
এছাড়া নৌকায় থাকা ৩ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ করে রূপসী ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্রে রাখা হয়। এদিকে নদীর পাড় দখল করে বিশাল বিশাল বালু স্তুপে এলাকার পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি নদীর বেড়িবাধ নষ্ট হওয়ায় সকল বালু মালিককে আগামী ২ দিনের মধ্যে নদীর পাড় মুক্ত করার নির্দেশ দেন তিনি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]