মোস্তফা হোসেন বাবলু : চলছে রমজান মাস। দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ, আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। তবে এ আনন্দ ও খুশি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় নতুন পোশাক। তাই তো ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসে, মার্কেটের পাশাপাশি মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে দর্জিদের দুয়ারেও। এবারের ঈদুল ফিতর ঘিরেও এর ব্যতয় ঘটেনি। ঈদকে সামনে রেখে নতুন নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দর্জি কারিগররা।রোজার আগে থেকেই অর্ডার নেয়া হচ্ছে। আরও কিছুদিন অর্ডার নেয়া যাবে বলে জানিয়েছেন উপজেলার টেইলার্স মালিকরা।
ঈদকে সামনে রেখে এখন সেলাই মেশিনের শব্দে মুখর দর্জির পল্লী। বাহারি নকশার কাপড় বানাতে সেখানে ভিড় করছেন অনেকেই। উপজেলার দর্জি কারিগরদের দম ফেলার ফুসরত নেই এখন। অবশ্য ব্যস্ততা শুরু হয়েছে রোজার আগে থেকেই।
সরেজমিনে পৌর সদরের ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের হাট-বাজারের দর্জি দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ছোটবড় প্রতিটি দোকানেই সেলাই কাজের প্রচুর অর্ডার পাচ্ছেন কারিগররা। প্রত্যেক কারিগর দিনে তৈরি করছে প্রকার ভেদে ৬ থেকে ৮টি অর্ডার করা পোশাক। সামনে ঈদ তাই রুজি-রোজগারের একমাত্র সম্বলটি যেন একমুহূর্তের জন্যও বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। নতুন করে অর্ডার এখনো চলছে বলে জানা গেছে।
চাহিদামতো নতুন পোশাক পেয়ে খুশি ক্রেতারাও। পছন্দমতো পোশাক বানাতে ক্রেতারা ছুটছেন টেইলার্সগুলোতে।
কলারোয়া পৌর সদরের ইউনিক টেইলার্স, স্টাইল টেইলার্স, স্নেহা টেইলার্সের মালিক বলছেন, পছন্দের পোশাকের জন্য রেডিমেড থ্রিপিস ও থানকাপড় কিনে ক্রেতারা পাড়ি জমাচ্ছেন দর্জি দোকানগুলোতে। ক্রেতাদের পছন্দ মতো পোশাক বানাতে দিনরাত দোকান খোলা রেখে কাজ করছেন দর্জিরাও। আবার কোনো কোনো টেইলার্স কাজের চাপ সামলাতে মৌসুমি কারিগর এনেছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে।
টেইলার্স মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পোশাক বানাতে অর্ডার বেশি। বিশেষ করে সুতি, সিল্ক, জর্জেট, কাপড়ের পোশাক বানানো হচ্ছে। এক সেট থ্রিপিস বানাতে মজুরি নেয়া হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। শার্ট বানাতে মজুরি লাগছে ২০০-৩০০ টাকা, প্যান্ট বানাতে মজুরি লাগছে ৫৫০-৬০০ টাকা।
বিভিন্ন মার্কেট ও স্থান ভেদে এসব মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে দর্জিরা জানান।
বাজারে নতুন পোশাক অর্ডার দিতে টেইলার্সের কাছে আসা কয়েকজন ক্রেতা বলেন, আর কিছুদিন পর আমাদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ছেলে মেয়েদের নতুন পোশাকের অর্ডার দিতে বাজারে আসছি। কিন্তু পোশাকের মজুরির যে দাম আমরা তাতে হিমশিম খাচ্ছি। আমরা যারা নিম্নআয়ের মানুষ আছি তাদের জন্য খুবই সমস্যা। পোশাকের দাম ও মজুরির দাম বাড়লেও আমাদের তো আর আয় বাড়েনি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]