ঈদের ছুটিতে বাংলাদেশি পর্যটকে গমগম করেছে কলকাতা নিউমার্কেট এলাকা। বাংলাদেশিদের কাছে অন্যতম পছন্দের বেড়ানোর জায়গা প্রতিবেশী দেশ ভারতের কলকাতা। সারা বছরই পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীতে বাংলাদেশি পর্যটকদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। ঈদ বা পূজার সময়ে তাদের ভিড় বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এব বছর ঈদুল আজহার ছুটিতে কলকাতার নিউমার্কেট চত্বর ছিল বাংলাদেশি পর্যটকে ঠাসা। ঈদ শেষ হলেও সেই দৃশ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
তবে সেখানকার আবাসিক হোটেল গুলোর ভাড়া অনেক বেশি বলে জানান পর্যটকরা।
তারা বলেন, হোটেল কর্তৃপক্ষ অনেকটা তাদের ইচ্ছা মতোই বেশি ভাড়া আদায় করে থাকেন। বিশেষ করে যখন পর্যটক বেশি যান তখন বেশি ভাড়া আদায় করা হয়। প্রতিবেশী দেশ, ভাষা ও যাতায়াতে তুলনামূলক সহজ হওয়ায় বাংলাদেশি পর্যটকরা কলকাতাকে বেছে নেন বেড়ানো ও কেনাকাটার জন্য। কিন্তু সেখানকার হোটেল ভাড়া অত্যধিক হওয়ায় বিপাকে পড়েন পর্যটকরা।
ঈদের পরেও মঙ্গল ও বুধবার (১৯ জুন) কলকাতার নিউমার্কেট এলাকা বাংলাদেশি পর্যটকে গিজগিজ করতে দেখা গেছে। দেশে ফেরার আগে তাদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় জমজমাট গোটা এলাকা। পোশাক-আশাক, জুতা থেকে রকমারি স্টেশনারি ব্যবসা, খাবার রেস্তোরাঁ ও থাকার হোটেলগুলোতে লাভের মুখ দেখেছেন ব্যবসায়ীরা।
সাতক্ষীরার বাসিন্দা দীপু জানান, ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটিতে নানা পরিকল্পনা নিয়ে ঢুকেছিলাম পছন্দের শহর কলকাতায়। এখানে ঈদের নামাজ আদায় করলাম, ঘুরলাম। এবার দেশে ফেরার পালা। আগামীকাল দেশে ফিরে ফের কাজে যোগ দেবো।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রথমবার কলকাতায় এসেছেন ঢাকার ফয়সাল। তিনি বলেন, প্রথমবার কলকাতায় বেড়াতে আসলাম। গরম হলেও এখানকার আবহাওয়াটা চমৎকার। বাড়িঘরগুলো দেখতে প্রাচীনকালের মতো। তাছাড়া, আমাদের ভাষা এবং এখানকার ভাষা এক, তাই কোনো ধরনের সমস্যাও হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, বাংলাদেশ একবেলা গরুর মাংস দিয়ে খেতে গেলে ৫০০ টাকা খরচ হয়। এখানে গরুর মাংসের কালা ভুনা দিয়ে একবেলা খাওয়া মাত্র ৭০ রুপিতেই হয়ে যায়। টুকিটাকি কেনাকাটা শেষে আগামীকাল দেশে ফিরবেন।
তবে বাংলাদেশি পর্যটকদের অভিযোগ- সেখানকার আবাসিক হোটেল গুলোর ভাড়া অনেক বেশি। হোটেল কর্তৃপক্ষ অনেকটা তাদের ইচ্ছা মতোই বেশি ভাড়া আদায় করে থাকেন। বিশেষ করে যখন পর্যটক বেশি যান তখন বেশি ভাড়া আদায় করা হয়। প্রতিবেশী দেশ, ভাষা ও যাতায়াতে তুলনামূলক সহজ হওয়ায় বাংলাদেশি পর্যটকরা কলকাতাকে বেছে নেন বেড়ানো ও কেনাকাটার জন্য। কিন্তু সেখানকার হোটেল ভাড়া অত্যধিক হওয়ায় বিপাকে পড়েন পর্যটকরা।
তাদের দাবি ও প্রত্যাশা- হোটেল ভাড়া হাতের নাগালে নিয়ন্ত্রণে রাখতে উদ্যোগী হবেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
নিউমার্কেট চত্বরের ব্যবসায়ীদের দাবি, এবারের ঈদে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি পর্যটক এসেছেন। নিউমার্কেট থেকে শপিংও করছেন তারা। তবে আমরা এর চেয়েও বেশি পর্যটক আসবেন বলে আশা করেছিলাম।
কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকদের সুরক্ষার জন্য স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে কয়েক বছর আগেই পুরো নিউমার্কেট এলাকা সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া, সেখানকার ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় মানুষেরাও বাংলাদেশি পর্যটকদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এ কারণে কলকাতায় বাংলাদেশিদের আনাগোনা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]