ঈদুল ফিতরের ৩য় দিনেও রাজগঞ্জের দুটি ভাসমান সেতুতে মানুষের ঢল নেমেছে। আগত দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধির প্রতি কোনো গুরুত্ব নেয়।
করোনা পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে আসা হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখর ভাসমান সেতু ও পর্যটন স্পট। বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে রয়েছে রাজগঞ্জবাসি।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে প্রশাসনকেও কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। ঝাঁপার সেতু দুইটি ও পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত আসেনি। অথচ করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সেতু দুইটিতে পর্যটকদের গমনের ওপর জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ আছে। এরপরও ঈদুল ফিতর প্রথম দিন থেকে এখানে পর্যটকের ঢল নেমেছে। দীর্ঘদিন ঘর বন্দী থাকার পর আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পরিবার নিয়ে ছুটছে ভাসমান সেতু এলাকায়। দুইদিন ধরে বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতু ও জেলা প্রশাসক ভাসমান সেতু দুইটিতে হাজারো পর্যটক ছুটে আসছেন।
খুলনা থেকে জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রী ও ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে ভ্রমণ করতে আসেন রাজগঞ্জের ভাসমান সেতুতে। এ পরিবারের কারও মুখে ছিল না মাস্ক। জাহাঙ্গীর আলম বলেন- শহরে বাসা থেকে বের হলে ঠিকই মাস্ক ব্যবহার করা হয়। মাস্ক ব্যবহার না করলে অনেক সময় প্রশাসনের অভিযানের মুখে পড়তে হয়। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় বেড়াতে আসা কেউই মাস্ক ব্যবহার করেন না।
এছাড়া অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। বিশেষ করে উঠতি বয়সিদের মাস্ক পরিধান করতে অনিহা দেখা গেছে। যে কারণে করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে রয়েছে রাজগঞ্জবাসি। দর্শনার্থীদের আগমন ঠেকাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]