ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি হবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম।
রবিবার সচিবালয়ে নির্মাণাধীন ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রথম দফার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ঢাকা-গাজীপুর ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে ইতোমধ্যে যানজট শুরু হয়েছে। ঈদের আগে তো আরও বেশি সমস্যা হতে পারে। ভোগান্তি কমাতে সরকারের কী পদক্ষেপ রয়েছে- এ বিষয়ে সচিব বলেন, ‘এ করিডোরে অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখেছি এখানে যানজট হয়। আব্দুল্লাহপুর থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা, আবার জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল- এই করিডোরেও যানজটের অভিজ্ঞতা আছে। বিআরটি করিডোরে মাননীয় মন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যে আমরা রাস্তাটা চলাচলযোগ্য করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় কাজ সম্পন্ন করেছি। আমরা সেখানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, পরিবহন মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে যৌথভাবে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করেছিলাম। আমরা দেখেছি কী কী সমস্যা আছে।’
সড়ক সচিব আরও বলেন, পরিবহন মালিকদের কিছু সুপারিশ ছিল, আমরা সেগুলো বিবেচনায় নিয়েছি। যানজট যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, ডেডলক যাতে না থাকে। এখনও কিছু কিছু জায়গায় কাজ অসম্পন্ন রয়েছে। আমরা সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। আমি আবারও সেখানে যাবো। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঠিকভাবে হলে সেখানে পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
‘জয়দেবপুর মোড় থেকে এলেঙ্গা হয়ে হাটিকুমরুল পর্যন্ত গেলে এলেঙ্গা মোড় পর্যন্ত তিনটি ফ্লাইওভার ছিল। বাজার, শহর থাকায় এখানে যানজট সবসময় লেগেই থাকতো। নওজোর, সফিপুর ও গড়াই- এ তিনটি ফ্লাইওভার আমরা কালকের মধ্যে খুলে দিচ্ছি। আমি গতকাল এটা সরেজমিনে দেখার জন্য গিয়েছি। দেখেছি এটা খুলে দেওয়ার মতো। এই তিনটি ফ্লাইওভার খুলে দিলে সমস্যা অনেকটা দূর হবে।’
সড়ক সচিব বলেন, ‘এলেঙ্গা মোড়ে ইন্টারসেকশনগুলো চওড়া করে দিচ্ছি। বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যে গাড়িগুলো আসবে...এদিকে তারাকান্দা, মধুপুর, ঘাটাইল দিয়ে জামালপুর ও ময়মনসিংহে যাওয়ার একটা রাস্তা আছে। হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে, ময়মনসিংহ-জামালপুরের গাড়িগুলো সেদিক দিয়ে ডাইভার্ট করার একটা অপশন আমরা রেখেছি।’
সিরাজগঞ্জের নলকায় আরেকটি সেতু আগামীকাল খুলে দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব স্থান সমস্যাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত ছিল, যানজটপ্রবণ ছিল, সেগুলো আমাদের পক্ষ থেকে অ্যাড্রেস করেছি। কাজগুলো আরও পরে শেষ করার কথা ছিল, কিন্তু ঈদের কথা বিবেচনা করে আগেই শেষ করেছি।’
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]