আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার একাংশের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই চুক্তিতে রাখা হয়েছে দেশটির আসাম রাজ্য সরকারকেও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার দিল্লিতে এই ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়েছে। এই চুক্তির খবর আন্তর্জাতিকভাবেও গুরুত্ব পেয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই চুক্তিকে ‘ঐতিহাসিক চুক্তি’ বলে অভিহিত করেছে।
চুক্তি সই করার সময় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা ও ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) একটি অংশের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির মধ্য দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে উত্তেজনা কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও চুক্তির বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি, তবে এতে অবৈধ অভিবাসন, আদিবাসীদের ভূমির অধিকার ও আসামের উন্নয়নে বিশেষ প্রণোদনার উল্লেখ আছে বলে জানা গেছে।
চুক্তির পর প্রতিক্রিয়ায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “আমরা চাইছি উলফা আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখুক। তাহলেই এই অঞ্চলে শান্তি আসবে। ”
ত্রিপক্ষীয় এই শান্তি চুক্তির জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কৃতিত্ব দেন অমিত শাহ।
এ আলোচনায় ছিলেন উলফার একটি অংশের ১৬ জন প্রতিনিধি।
তাদের নেতৃত্ব দেন অরবিন্দ রাজখোয়া।
তিনি বলছেন, আসামে এখন শান্তি আসবে। ভবিষ্যতেও এই শান্তি বজায় থাকবে। আমরা কোনও ভুল করে থাকলে ক্ষমা চাইছি।
তবে উলফার আরেকটি অংশের নেতা পরেশ বড়ুয়ার কোনও প্রতিক্রিয়া রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি।
তিনি এখন মিয়ানমার আছেন বলে ধারণা করা হয়।
একাংশের চুক্তিতেই সন্তোষ প্রকাশ করে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “এটি আসামের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর ৮ হাজার ৭০০ জন আমাদের শান্তি চুক্তির আওতায় এসেছে। এখন আসামের সুদিন আসবে।”
জানা গেছে, ১৯৭৯ সালে আসামে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা)। তখন থেকেই তারা আসামকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে আসছে।
সূত্র: এনডিটিভি, দ্য হিন্দু, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]