নির্বাচনের সময় সংঘাতে অতীতের হতাহতের ঘটনার কথা তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান বলেছেন- এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৮০০ নির্বাচন হয়েছে, সংঘাতে কেউ মারা যায়নি।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি আহসান হাবিব বলেন- হোন্ডা পান্ডা গুন্ডা ডান্ডা জিতে গেছি, ওই দিন ভুলে যান। প্রশাসনের জাল ভেদ করে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। গতবার যা করেছেন, এবার তা হবে না।
ইভিএম সম্পর্কে প্রার্থীদের সংশয় নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে প্রধান অতিথি আহসান হাবিব খান বলেন- ইভিএম স্বচ্ছতার প্রতীক। ভোট ডাকাতি ঠেকাতে এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইভিএমে। হরিহরনগর ইউনিয়নের ভোট হবে একটি মাইলফলক।
আহসান হাবিব খান বলেন- ইলেকশন হলে লোক মারা যায়। এটা মানুষের কাছে অতি স্বাভাবিক একটা ধারণা হয়ে গিয়েছিল। আমরা নতুন কমিশন ৮০০ নির্বাচন করেছি। কোথাও একটি লোক মারা যায়নি।
তিনি বলেন- কেউ যেন বাইরের এলাকা থেকে এসে নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা করতে না পারে, সে ব্যাপারে প্রশাসন কঠোর থাকবে। একা ইলেকশন কমিশন কিছু করতে পারবে না। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। আপনারা প্রার্থীরা ভোটারদের আশ্বস্ত করবেন।
মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন।
এ সময় খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান, রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য- আগামী ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে ৪ জন চেয়ারম্যান, ১০ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য ও ৩২ জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনে ১০ হাজার ৬৭৫ জন পুরুষ ও ১০ হাজার ৫৫১ জন নারী ভোটার রয়েছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]