‘দু:খে যাদের জীবন গড়া, তাদের আবার দু:খ কিসের’ অনেক বেদনা দায়ক, দু:খ-কষ্ট ক্ষুধা-দারিদ্র্যর মধ্যেই জন্ম হয়েছে প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদের। জন্মগতভাবে সে একজন প্রতিবন্ধী। তার দুই হাত ও দুই পা পঙ্গু, ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। শরীরের শিরা উপশিরায় যন্ত্রণা ও টান পড়ে। লাঠিভর করে চলতে হয় তাকে। বিভিন্ন সময়ে মাথা ঘুরে পড়ে যেয়ে তার সমস্ত শরীরে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে।
তার দুঃখ কষ্টের কথা শুনলে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। একটু ভালোভাবে বাঁচতে চায় প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদ। বুধবার (৬ এপ্রিল) অশ্রæসিক্ত নয়নে জীবনের দু:খ কষ্টের কথা বলেছেন প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদ। সাতক্ষীরা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে কুখরালি গ্রামের আহম্মদ আলী গাজীর ছেলে আব্দুর রহমান মুনজিতপুর গ্রামের রুস্তম গাজীর কন্যা জোহরা বেগম (আয়জান) কে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং দীর্ঘদিন যাবত ঘর সংসার করেন। একপর্যায়ে আব্দুর রহমান তিন সন্তানের জননী জোহরা বেগম ও প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদ, আব্দুর রাশেদ, আব্দুর রহিমকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করে পাড়ি জমান। সেই থেকে জোহরা বেগম তিন সন্তানকে নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি ঝিয়ের কাজ করে সন্তানদের মুখে দু'বেলা দু'মুঠো অন্ন তুলে দিয়ে আসছিল। এই অসহায় পরিবারের আফসোস প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই যদি পেতো, এতে একটু হলেও স্বস্তি হতো। মুনজিতপুর গ্রামে আলহাজ্ব মেহের আলী মিয়ার ভাড়া বাড়িতে প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদ কে আঁকড়ে ধরে তার বৃদ্ধ জনম দুখী মা দু:খ কষ্টের মধ্যে জীবনের সন্ধানে খুঁজে ফিরেছে।
এত দু:খ কষ্টের মধ্যে ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নেয়নি এই পরিবারটি। আজও পর্যন্ত কোনো খোঁজ খবর নেয়নি এই অসহায় পরিবারের প্রতি আব্দুর রহমান। প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদের ঔষধ কিনতে পারে না এই অসহায় পরিবার। খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে অসহায় পরিবারটি। এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের স্বহৃদয়বান ও বিত্তবান এবং প্রশাসনের কাছে মানবিক সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদ। সহযোগিতা পাঠাতে সরাসরি যোগাযোগ করুন, মোবাইল নং ০১৭২৫ ২৭৩৯৩৫।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]