রোববার (১৯ জুলাই) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এতথ্য জানান, আজ শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনির সভাপতিত্বে এক অনলাইন মিটিং এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত ৩১ মে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হলেও করোনা মহামারীর কারণে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম বিলম্বিত হয়। বোর্ডের প্রস্তুতি থাকলেও মহামারীর প্রকোপ বাড়তে থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, এ বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী ও বিকেএসপি কোটা বহাল থাকছে। তবে, অন্যান্য কোটা নিয়ে প্রস্তাবিত খসড়া নীতিমালায় কোনো কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ভর্তি প্রক্রিয়ায় জটিলতা ও ব্যয় কমাতে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। শুধু অনলাইনে সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ভর্তিতে ফি আবেদন ফি ও ভর্তি ফি কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সূত্র গণমাধ্যমকে জানায় ভর্তির সময় পরিবর্তন হলেও ইতিমধ্যে প্রকাশিত নীতিমালা অনুসারে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
এবার ‘৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষায় অংশ নেয় ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে।’
এসএসসির সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮২.৩৪ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৯০.৩৭ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৮৫.২২ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৮৭.৩১ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৪.৭৫ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭৯.৭০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৮.৭৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৮২.৭৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮০.১৩ শতাংশ। এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ৮২.৫১ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাস করেছে ৭২.৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]