ফরিদপুর হাসপাতালে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার নবজাতকের সবাই মারা গেছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ভোররাতের মধ্যে পৃথক সময় তাদের মৃত্যু হয়। শনিবার দুপুরে তাদের ফরিদপুরের অম্বিকাপুর শ্মশানে পাশাপাশি সমাহিত করা হয়। এ ঘটনায় পরিবারের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
শুক্রবার বিকালে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈশাখী রায় (২৩) চার পুত্রসন্তানের জন্ম দেন; কিন্তু একদিন যেতে না যেতেই দিবাগত রাত দেড়টায় প্রথমে দুইজন ও ভোররাত ৪টার দিকে বাকি দুই নবজাতক মারা যায়। পরে শনিবার দুপুরে শহরের অম্বিকাপুর শ্মশানে মৃত চার নবজাতককে সমাহিত করা হয়।
বৈশাখী রায় ফরিদপুর শহরের পশ্চিম আলীপুর মহল্লার বাসিন্দা ও মদন রায়ের মেয়ে। তার স্বামী রাজন বিশ্বাসের (২৬) বাড়ি রাজবাড়ীর ভাজনচালা এলাকায়। তিনি ভোলানাথ বিশ্বাসের ছেলে।
২০১৯ সালে বৈশাখীর সঙ্গে রাজনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রাজন পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী। রাজন-বৈশাখী দম্পতির আর কোনো সন্তান নেই। মৃত চার নবজাতকই ছিল ছেলেসন্তান।
রাজন বলেন, আমাদের ঘর আলোকিত করে চার সন্তান জন্ম নেওয়ায় আমরা খুশি ছিলাম। তবে দুইজনের অবস্থা জন্মের পর থেকেই সংকটজনক বলেছিলেন চিকিৎসকরা। তবে এক দিন যেতে না যেতেই এক রাতেই চার সন্তান চলে গেল না ফেরার দেশে।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এনামুল হক বলেন, শিশুদের জন্মের পর মা বেশ অসুস্থ ছিলেন। গর্ভে চারটি শিশু ধারণ করার মতো শক্তি ছিল না তার। গর্ভ ধারণের ২৮ সপ্তাহে বাচ্চাগুলো জন্ম নিয়েছিল। প্রতিটি বাচ্চার ওজন ছিল ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]