শনিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী নিয়ে গণপরিবহণ চলবে। ভাড়া বাড়বে না। বিদ্যমান ভাড়ায় যাত্রী পরিবহণ করতে হবে।
তবে মালিকরা সরকারের কাছে যত সিট তত যাত্রী নিয়ে চালানোর অনুমতি চেয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন।
বুধবার বিকালে মালিক শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।
তিনি বলেন, ভাড়া বৃদ্ধি যৌক্তিক মনে করছি না। বিদ্যমান ভাড়ায় গণপরিবহণ চলবে।
গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৩ জানুয়ারি থেকে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তবে এ নির্দেশনার পর থেকেই ভাড়া বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ দেওয়া শুরু করেন বাস মালিকরা। এ পরিস্থিতিতে বিআরটিএ প্রধান কার্যালয় বনানীতে আজ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে বৈঠকে বসে সংস্থাটি। ওই বৈঠকে বাসভাড়া না বাড়িয়ে যাত্রী পরিবহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, বৈঠকে পরিবহণ মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতারা প্রস্তাব করেছেন- বিধিনিষেধ চলাকালে বাস ও মিনিবাসে শতভাগ যাত্রী পরিবহণ করা হলে মালিকদের লোকসান গুনতে হবে না। ৫০% যাত্রী পরিবহণ করা হলে রাজধানীতে পরিবহণ সংকট চরম আকার ধারণ করবে ও যাত্রীদের দুর্ভোগ সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছবে। এ অবস্থায় বাস ও বাস টার্মিনালে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে এখন যেভাবে বাস ও মিনিবাসে যাত্রী পরিবহণ করা হচ্ছে, সেভাবে শতভাগ যাত্রী পরিবহণ করা উচিত। পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের এ প্রস্তাব সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের কাছে পাঠানো হবে। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন বাস ভাড়া বাড়ানো যৌক্তিক হবে না। কারণ গত নভেম্বর মাসে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বাসে যাত্রী পরিবহণের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক নেতাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমাদের ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। তারা সবশেষে একমত হয়েছেন যে ভাড়া বাড়ানো হলে যাত্রীদের ওপর বেশি চাপ তৈরি করা হবে এবং এটি এ মুহূর্তে বাড়ানো যৌক্তিক হবে না।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]