এখনো নাগালের বাইরে ব্রয়লার মুরগি
রাজধানীর বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে এখনো তা ভোক্তার জন্য সহনীয় হয়নি। যদিও ‘বিগ ফোর’ হিসেবে পরিচিত চারটি প্রতিষ্ঠানকে ডেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আলোচনার পর ৩৫-৪০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্তে কথা জানিয়েছিল।
কিন্তু শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে ভোক্তা পর্যায়ে এর প্রভাব তেমন পড়েনি। কেজিতে সর্বোচ্চ ২০ টাকার মতো কমেছে।
গত বৃহস্পতিবার ভোক্তা অধিকারের সঙ্গে চার প্রতিষ্ঠানের আলোচনায় পাইকারি পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির কথা বলা হয়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুরগির দাম বেশি থাকার কারণে ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদা কমেছে। যার ফলে আগের থেকে ব্যবসায় অনেক ভাটা পড়েছে।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) কারওয়ান বাজার, মালিবাগ ও মৌচাক বাজার ঘুরে দেখা যায়, ২০ টাকা কমে বর্তমানে লেয়ার ৩৪০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৫০ টাকা, ব্রয়লার ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগি ৬৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য বাজারের চিত্র তুলে ধরে একটি সংবাদ মাধ্যম বলেছে, ২৫০ টাকার ওপরেই ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে গতকাল।
কারওয়ান বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী নজরুল বলেন, বাজারে সব ধরনের মুরগির দাম কমেছে। একটা সিন্ডিকেটের কারণে হঠাৎ করেই মুরগির বাজার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। এর প্রভাবে তাদের বিক্রিও কমেছে।
তবে ক্রেতারা বলছেন, এখনো তাদের নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে মুরগি ও ডিম।
জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ব্রয়লার মুরগির ২৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া অস্বাভাবিক। উৎপাদন খরচ অনুযায়ী এককেজি মুরগি ২০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হওয়ার কথা।
এদিকে রমজানের প্রথম দিনে ইফতারের খাবারের দামেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। বাড়তি দামের কারণে অনেক ক্রেতাকে একটা আইটেম হাতে করে ফিরতে দেখা গেছে।
ইফতারের খাবার দোকানগুলোতে দেখা যায়, শাহী জিলাপি ৩৫০ টাকা, রান্না ছোলা কেজি ২২০, রেশমি জিলাপি ১০ টাকা বেড়ে কেজি ৩৬০ টাকা, আলুর চপ প্রতিটি ৫ টাকা বেড়ে ১০ টাকা, বেগুনি প্রতিটি ৫ টাকা বেড়ে ১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মালিবাগে রবিন নামের এক ক্রেতা বলেন, একটা পেঁয়াজু সামান্য বড় করে তা ১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)