বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো ও তা অব্যহত রাখায় মিয়ানমারের জান্তা সরকারের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও কয়েকটি অস্ত্র ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্য।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন মিয়ানমারের নতুন নিয়োগ পাওয়া বিমানবাহিনীর প্রধান। তাছাড়া সামরিক কর্মকর্তারা যারা অস্ত্র বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত তাদের লক্ষ্য করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তাছাড়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৬৬ লাইট ইনফেনটি ডিভিশনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব কায়াহ রাজ্যে গাড়ির মধ্যে ৩০ বেসামরিক নাগরিককে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে সেনাবাহিনীর এ ইউনিটের বিরুদ্ধে।
যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অস্ত্র ব্যবসায়ী তাই জোর নিয়ন্ত্রিত দুইটি প্রতিষ্ঠানেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যে সকল প্রতিষ্ঠান মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করে তাদের ওপর। মিয়ানমারে সাধারণ জনগণের ওপর সবচেয়ে বেশি হামলা চালিয়েছে বিমান বাহিনী।
কানাডা মিয়ানমারের চার ব্যক্তিসহ দুইটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এদিকে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশের শাসনভার গ্রহণ করে সেনাবাহিনী। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর এ অভ্যুত্থানকে ভালোভাবে নেয়নি। তারা প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। ফলে সেনাবাহিনী সাধারণ জনতার ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালায়।
সূত্র: আল জাজিরা
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]