চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর একটি দলের এতটা বাজে অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয় ভক্ত-সমর্থকদের। লিভারপুল গত মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতার পর থেকেই যেন পুরোপুরি বদলে গেছে। পরাজয়ের বৃত্তেই বন্দী তারা। এবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা চতুর্থ ম্যাচ হারলো ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
মার্সিসাইড ডার্বিতে শনিবার রাতে নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে এভার্টনের মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে সর্বশেষ ১৯৯৯ সালে লিভারপুলকে হারিয়েছিল এভার্টন। দীর্ঘ ২২ বছর পর এসে আবারও অল রেডদের হারাতে পারলো তারা।
মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লেইপজিগকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল; কিন্তু প্রিমিয়র লিগে ফিরতেই ফের হার লিভারপুলের শনিবাসরীয় অ্যানফিল্ডে মার্সেসাইড ডার্বিতে এভার্টনের কাছে ০-২ গোলে হেরে বসল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
ফলে প্রিমিয়র লিগে টানা চার ম্যাচে হার স্বীকার করল ক্লপের শিষ্যরা। এই ম্যাচ হারে লজ্জার রেকর্ড তালিকায় লিভারপুলের জন্য যোগ হল বেশ কিছু রেকর্ড।
এ নিয়ে প্রিমিয়র লিগে টানা চারটি ম্যাচ অ্যানফিল্ডে হারল রেডস’রা। শেষবার ১৯২৩ সালে এ ধরনের খারাপ ফলাফলের সম্মুখীন হয়েছিল লিভারপুল। অর্থাৎ, ৯৮ বছর পর প্রিমিয়র লিগে টানা চারটি ম্যাচ অ্যানফিল্ডে হারল ১৯ বারের ইংল্যান্ড সেরারা।
এখানেই শেষ নয়। ১৯৯৯ পর অর্থাৎ ২২ বছর বাদে অ্যানফিল্ডে মার্সেসাইড ডার্বিতে লিভারপুলকে হারাল এভার্টন। সবমিলিয়ে ৩০ বছর প্রিমিয়র লিগ জেতার পরের বছরেই মাঝপথে এসে তাল কাটল ক্লপের সংসারে। যদিও শুরুটা চ্যাম্পিয়নের মতই করেছিল রেডস’রা।
লিভারপুলের বিরুদ্ধে এই জয় এভার্টনকে পয়েন্টের নিরিখে ক্লপের দলের সঙ্গে সমমেরুতে নিয়ে এল। ২৫ ম্যাচ পর দু’দলেরই পয়েন্ট এখন ৪০। গোলপার্থক্যে এগিয়ে ছ’নম্বরে রয়েছে লিভারপুল। যদিও লিগ শীর্ষে থাকা ম্যাঞ্চেস্টার সিটি নিরাপদ ১৬ পয়েন্টের ব্যবধান তৈরি করে নিয়েছে চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে। তাও আবার এক ম্যাচ কম খেলেই।
এভার্টনের হয়ে দুই অর্ধে দু’টি গোল করেন রিচার্লিসন এবং সিগুর্ডসন। ম্যাচের শুরুতে গুছিয়ে ওঠার আগেই এদিন পিছিয়ে পড়ে ক্লপের দল। তিন মিনিটের মাথায় জেমস রডরিগেজের ডিফেন্স চেরা থ্রু ধরে অ্যালিসন বেকারকে পরাস্ত করেন ব্রাজিলিয়ান রিচার্লিসন। প্রথমার্ধে সমতা ফেরানোর মত পরিস্থিতিতে লিভারপুল একাধিকবার পৌঁছলেও জর্ডান পিকফোর্ডের দস্তানায় আটকে গিয়ে লিভারপুলের সমতায় ফেরা হয়নি। প্রথমার্ধে হেন্ডারসন এবং আলেকজান্ডার আর্নল্ডের দুরন্ত শট রক্ষা পায় এভার্টন গোলরক্ষকের দস্তানায়।
আবার ৩৭ মিনিটে ফিলিপসের হেড পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে আটকে ব্যবধান বাড়তে দেননি অ্যালিসন। বিরতির পর মোহামেদ সালাহকে রুখে দিয়ে লিভারপুলকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ থেকে ফের বঞ্চিত করেন পিকফোর্ড। ৮২ মিনিটে প্রতি-আক্রমণ থেকে বিপক্ষ গোলমুখে হানা দেয় এভার্টন। রিচার্লিসনের পাস থেকে পরিবর্ত কালভার্ট লুইনের শট অ্যালিসনের হাতে পৌঁছনোর পরেও বক্সে লুইনকে ফাউল করে বসেন আলেকজান্ডার আর্নল্ড। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্তে বহাল থাকেন রেফারি। আর স্পটকিক থেকে নিশানায় অব্যর্থ থেকে এভার্টনের তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেন সিগুর্ডসন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]