এ বছর আই.সি.টি খাতে বিশেষ অবদান রাখায় রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিতো হয়েছেন, সাতক্ষীরার বাক প্রতিবন্ধী সুন্দরী তরুণী প্রাপ্তি। আর এ খবর রাষ্ট্রীয় মিডিয়াতে প্রকাশ হওয়ার পরপরি প্রাপ্তির সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য সাতক্ষীরাস্থ খড়িবিলা এলাকায় আইসিটি পল্লীতে ছুটেছেন কর্মরত সাংবাদিকরা।
'আই সি টি পল্লীর ''প্রাপ্তি আইসিটি ট্রেনিং সেন্টারের সম্মুখে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের ব্রিফিং করছেন, একজন সুদর্শন যুবক, আর তার পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের ক্যামেরার ফ্লাশ লাইফের ঝলকানিতে উদ্ভাসিত হয়ে হাস্যোজ্জ্বল পোস্ট দিচ্ছেন প্রাপ্তি। ক্যামেরার ঝলকানি কম হতেই শুরু হলো সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্ন বান, সব প্রশ্নের সাবলীল উত্তর দিয়ে যাওয়া যুবকটির নাম, তানভীর মাহমুদ শাওন, এখানে শাওনের পরিচয় দেওয়াটা আবশ্যিক মনে করছি।শাওন হচ্ছে "প্রাপ্তি আই, সি, টি ট্রেনিং সেন্টারের সেকেন্ড ইন কমান্ড ও প্রাপ্তির বয়ফ্রেন্ড "।
রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রাপ্ত, একটি প্রতিষ্ঠান ও তার প্রধানের, এই রূপ সাদামাটা প্রেস কনফারেন্স নিয়ে রিপোর্ট করার পক্ষপাতি নন আওয়ার নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি তারেক মাসুদ, তাও আবার প্রতিষ্ঠান প্রধান সুন্দরী বাক প্রতিবন্ধী যুবতী। কর্মসূত্রে শাওনের সাথে পরিচয় ছিল মাসুদের, তাই সে পার্শ্ববর্তী একটি টি স্টলে অপেক্ষা করছিল, অন্য সাংবাদিকদের চলে যাওয়ার, কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্য সব সাংবাদিকরা বিদায় নিলে, মাসুদ ফোন দিল শাওনের নাম্বারে, প্রথমবার রিসিভ হলো না, কিন্তু দ্বিতীয়বার দিতেই আসসালামু আলাইকুম মাসুদ ভাই, প্রেস কনফারেন্সে অনেককেই দেখলাম কিন্তু, আপনাকে দেখলাম না, সাতক্ষীরাতে নাই নাকি? সংবাদ জানেন তো নিশ্চয়ই? সালামের জবাব দিয়ে, হ্যাঁ শাওন সংবাদ অবশ্যই জানি, আর সাতক্ষীরাতেই আছি এবং বর্তমানে তোমাদের অফিসের পশ্চিম কর্নারে টি স্টলে দাঁড়িয়ে আছি। তা, কনফারেন্সে আসলেন না কেন? আসলে শাওন, সত্য বলতে কি, আমি একটু লেট করে ফেলেছি, আর তাছাড়া ----।
তাছাড়া কি মাসুদ ভাই? আপনি কি? হ্যা তুমি ঠিকই অনুমান করতে পেরেছ শাওন। আমি প্রাপ্তির একান্ত সাক্ষাৎকার চাচ্ছি, আর এও জানি তুমি চাইলে সেটা সম্ভব। ছোট্ট করে হাসতে হাসতে কি যে বলেন মাসুদ ভাই, আরে আমি কিছুটা জানি বলেই তো বললাম, তুমি হা বললে প্রাপ্তি ও হ্যাঁ বলবে, তারপরও মাসুদ ভাই, ওর একটা অনুমতির প্রয়োজন আছে না? আচ্ছা আপনি একটু অপেক্ষা করেন মাসুদ ভাই, আমি কিছুক্ষণের মধ্যে জানিয়ে দিচ্ছি। চা শেষ করে বেনসন সিগারেটের ধোয়া কুন্ডলী পকিয়ে শূন্যে ছেড়ে দিচ্ছিল আর শাওনের ফোন কলের অপেক্ষা করছিল মাসুদ, অপেক্ষার সময় খুব বেশি লং হলো না, হাতের ছোট ফোন সেটা টা বাঁজতেই, হ্যাঁ বল শাওন অনু--,আসলে ও অনেকটা ক্লান্ত তারপরও আপনার কথা বলতেই ---গেল। তাহলে শাওন সময়টা, ও হ্যাঁ আপনি আমাদের সাথে লাঞ্চ করবেন। আর খেতে - খেতেই সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ করতে হবে তাই তো? অনেকটা সেই রকম, বুঝতেই পারছেন ----। ওকে নো প্রবলেম, আর ও হ্যাঁ মাসুদ ভাই আপনি ইচ্ছে করলে লাঞ্চ আওয়ারের আগ পর্যন্ত আমাদের গেস্ট রুমে বিশ্রাম নিতে পারেন? নো থ্যাংকস শাওন, আর তো মাত্র আধা ঘন্টা বাকি আছে, এই সময়টুকু আমি আই,সি,টি পল্লীর বাইরের কিছু ফুটেজ নিতে চায়। ওকে ভাইয়া, তাহলে দেখা হচ্ছে --। লাইনটা কেটে যেতেই, সিগারেটের লাস্ট টানটা দিয়েই উচ্ছিষ্ট অংশটুকু পার্শ্ববর্তী ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে, ক্যামেরার লেন্স খুলে দৃশ্য ধারণের কর্মযজ্ঞ শুরু করে দিল তারেক মাসুদ।
মধ্যাহ্ন ভোজনের সময় হতেই, আমি প্রাপ্তি ট্রেনিং সেন্টার এর দিকে তাকাতেই দেখি শাওন তার হাতের রিস্ট ওয়াচে সময় দেখছে, আমি বললাম সময় দেখা লাগবে না, আসামি হাজির, সত্যি মাসুদ ভাই, আপনি যে রসিক মানুষ তা আপনার কথাতেই প্রমাণ হয়, আসুন প্রাপ্তি আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। পূর্ব পরিকল্পনা মাথায় থাকাতে, আমি যখন শহর হতে রওনা হওয়ার মুহূর্তে একটা ফুলের তোড়া সাথে নিয়ে নিই।আমাকে দেখতে পেয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো প্রাপ্তি, যেহেতু বয়সে ছোট তাই নাম ধরেই বললাম, গুড আফটারনুন প্রাপ্তি, শুভ কামনা রইল, ফুলের তোড়া হাতে দিলাম, স্মিত হেসে ঘাড় নাড়িয়ে, সম্মুখের চেয়ারে বসার ঈঙ্গিত দিল,ভোজন পর্ব শুরু করার আগেই আমি ভিডিও ধারনের অনুমতি চেয়ে নিলাম। আপনি শুরু করতে পারেন মাসুদ ভাই,কি জানতে চান নির্দ্বিধায় বলতে পারেন, বুঝতেই পারছেন উত্তর টা ওর হয়ে আমাকেই দিতে হবে,তবে কোন বিষয়ে প্রাপ্তির অমত থাকলে সেটা ও লিখিত নোটে জানাবে।প্রাপ্তি ও ঘাড় নেড়ে সেটাই বুঝাতে চাইল---।
প্রথম থেকেই তাহলে শুরু করি মাসুদ ভাই, কি বলেন? হ্যাঁ নিশ্চয়ই, তবে চিংড়ি সবজিটা কিন্তু বেশ লাগছে।রান্নাটা প্রাপ্তির মায়ের হাতের, উনি কিন্তু বেশ ভালো রাঁধেন? সেটা তোমার প্রশংসা শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে, উনি অদূর ভবিষ্যতে তার রান্নার প্রশংসার জন্য একজন ভালো জামাই পেতে যাচ্ছেন, আমার কথা শুনে প্রাপ্তি যেন একটু লজ্জা পেলেও বলে মনে হল। তুমি থামলে কেন শাওন, বলতে থাকো--।একদিন সকালে, সম্ভবত ১১টার দিকে হবে, প্রাপ্তি ও তার মা বাইপাস রোড ধরে একটা ইজিবাইকে করে আলীপুরের দিকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল বেড়াতে, প্রাপ্তি হ্যা সুচক ঘাড় নাড়লো। (চলবে......)
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]