প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের তাণ্ডবে আমেরিকা, ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও ব্রাজিলের মতো দেশ ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে। এর বিষাক্ত ছোবলে যেন অসহায় হয়ে পড়েছে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান।
এখনও পর্যন্ত কার্যকরী কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে কোটি ৩৯ লাখ ৪৬ হাজার ১৭০ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৯ লাখ ২ হাজার ৬৭৩ জনের।
এমন পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মানুষ। স্বাচ্ছন্দে বাড়ির বাইরে বের হতে পারছে না কেউ।
তবে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে রাশিয়া।
দেশটির পক্ষ থেকে ঘোষণা এসেছে, এ বছরই রাশিয়ায় ৩ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন তৈরি হবে। বিদেশে উৎপাদন করা হবে আরও ১৭ কোটি ডোজ।
এই ভ্যাকসিনে প্রথম মানবদেহে পরীক্ষা চলতি সপ্তাহেই শেষ হয়েছে। গবেষকরা তবে এই রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটুকু শক্তিশালী তা এখনও স্পষ্ট নয়।
রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)-এর প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ জানান, ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় কয়েক হাজার মানুষের দেহে তা পরীক্ষা করা হবে। আগস্টেই এই পরীক্ষা শুরু হতে পারে।
দিমিত্রিয়েভ আরও বলেন, আশা করা হচ্ছে যে ফলাফল অনুসারে রাশিয়ায় আগস্টে তা অনুমোদিত হতে পারে এবং অন্য দেশগুলোতে সেপ্টেম্বরে। ফলে এটি বিশ্বের প্রথম অনুমোদিত ভ্যাকসিন হতে পারে।
এদিকে, অক্সফোর্ডের গবেষণা ঘিরেও তৈরি হয়েছে আশা। যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র ‘দ্য টেলিগ্রাফ’-এ উল্লেখ করা হয়েছে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে যে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে, তা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্বিগুণ সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল প্রায় শেষের পথে। এটি অ্যান্টিবডি ও টি সেল দুটিই উৎপন্ন করতে সক্ষম। টেলিগ্রাফে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ের ভ্যাকসিন ট্রায়ালেই এই প্রমাণ মিলেছে। রক্তের নমুনায় দেখা গেছে, অ্যান্টিবডি ও ভাইরাস ধ্বংসকারী টি সেল দুটোই আছে।
‘অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি’ই সবার আগে হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করে। তাই সেদিকেই তাকিয়ে বসে আছে গোটা বিশ্ব। আর সেখান থেকে খুব তাড়াতাড়ি কিছু একটা খবর আসতে চলেছে বলে জানা গেছে।
তৃতীয় ধাপে মানব শরীরে ট্রায়াল চলছে। কিন্তু এখনও প্রথম ধাপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। এটা নিরাপদ কিনা, তা পরীক্ষা করা হবে। জুলাইয়ের শেষেই তার ফলাফল আসবে। ল্যান্সেট মেডিক্যাল জার্নালে সেই তথ্য প্রকাশিত হবে বলে জানা গেছে।
সূত্র: জিনিউজ
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]