করোনার কারণে শিক্ষাব্যবস্থায় বেশকিছু পরিবর্তন এসেছে। সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি এর প্রভাব পড়েছে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থায়ও। তবে, এরিমধ্যে গত ২৪ আগস্ট থেকে কওমি মাদ্রাসা খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আপাতত শুধুমাত্র হেফজ সমাপনী পরীক্ষা ও কিতাবি সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হবে। বাকি পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে স্থানীয়ভাবে, নিজ নিজ মাদ্রাসায়। প্রয়োজনে সিলেবাসে কিছুটা পরিবর্তন এনে হলেও যথাযথ সময়ে সার্বিক কার্যক্রম শেষ করার চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশের কওমি মাদরাসা সমূহের সবচেয়ে বৃহত্তম বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক)।
সিলেবাসে কিছুটা পরিবর্তন আনা হতে পারে উল্লেখ করে সহকারি মহাপরিচালক বলেন, আমরা কিছু সিলেবাস সংশোধনের বিষয়েও ভাবছি। আপাতত আমরা যেসব পরীক্ষা না নিলেই নয় তা নিচ্ছি। বাকি পরীক্ষাগুলো মাদ্রাসায়-ই হবে। সাধারণ শিক্ষায় সেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে আমরাও সে ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করছি। আমরা চাচ্ছি না আমাদের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ুক।
মুহাম্মদ যুবায়ের বলেন, আপাতত আমরা বোর্ড থেকে শুধুমাত্র হেফজ সমাপনী পরীক্ষা ও কিতাবি সমাপনী পরীক্ষা নিচ্ছি। এই দুটো বাদে অন্যান্য পরীক্ষাগুলো আমরা স্থানীয়ভাবে নিজ নিজ মাদ্রাসায়ই নিবো। প্রজ্ঞাপনে আমাদের যেসব স্বাস্থ্যবিধির কথা বলা হয়েছে তা পরীক্ষা সময়ও মানতে হবে।
‘আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই কিছু কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। কিন্তু তারপরেও আমরা যতোটা সম্ভব কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আপাতত শিক্ষার্থীদের বাইরে বের হতে অনুৎসাহিত করছি। তারপরেও তারা যদি বাইরে যায়, মাদ্রাসায় প্রবেশের সময় স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ, হাত পরিষ্কারসহ অন্যান্য কার্যক্রম মেনে চলতে হচ্ছে।’
মুহাম্মদ যুবায়ের বলেন, আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য সিলেবাস শেষ না করতে পারলে আগামী বছরের সাথে চলতি বছরের কিছু সময় যুক্ত করে নেয়ার কথা ভাবছি। এছাড়া আমরা সিলেবাসেও যদি পরিবর্তনও আনা লাগে তা কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে ভাবছি। মুরব্বিরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। মূলত রমজানের মধ্যে আমাদের সিলেবাস শেষ করার একটা তাড়া থাকে। কিন্তু এবার যদি রমজানের মধ্য সিলেবাস শেষ করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমাদের ভিন্ন কিছু ভাবতে হবে। আমরা এখনো কিছু নির্ধারণ করিনি। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বেফাক বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড নামেও পরিচিত। এটি ছাড়াও বাংলাদেশের কওমি মাদরাসা সমূহের ছোট বড় আরো প্রায় আঠারোটি শিক্ষা বোর্ড আছে। বেফাকুল মাদারিস তাদের নিবন্ধিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, উন্নয়ন, বিভিন্ন স্তরভেদে পরীক্ষা গ্রহণ এবং সনদ
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]