করোনা আবহে জীবনযাত্রার ধরন সবারই যেন পাল্টে গিয়েছে। বাড়ির বাইরে কোথাওই গেলে সর্বক্ষণ একটা ভয় বা আতঙ্ক থাকে। মাস্ক, গ্লাভস পরার হ্যান্ড স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখা আবশ্যক। মাথায় টুপি এবং ফেস শিল্ড পরলে আরও ভাল।
কিন্তু এভাবে আর কতদিন, এটাই প্রশ্ন অধিকাংশ মানুষের। গত প্রায় ৫ মাস ধরে এমন জীবনে অস্থির হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ।
বেড়াতে যেতে কার না ভাল লাগে। দৈনন্দিন জীবনের কাজের চাপ থেকে মুক্তি পেতেই দেশে-বিদেশে পরিবার, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ভ্রমণ করে থাকেন অধিকাংশ মানুষ।
কেউ কেউ একা ভ্রমণে যেতেও ভালোবাসেন। কিন্তু সেসব যেন এখন অতীত। বিদেশ তো দূরের কথা, দেশেই কোথাও ঘুরতে যাওয়ারও উপায় নেই। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।
বিশ্বের এমন অনেক দেশই রয়েছে, যারা এখনই ‘সেফ ট্রাভেল’বা নিরাপদ ভ্রমণের তকমা পেয়ে গিয়েছে।
অর্থাৎ এই সমস্ত দেশে যাত্রা করলে ঝুঁকির মাত্রা কম। নিজেদের দেশের সীমান্ত অনেকদিন আগেই খুলে দিয়েছে তারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র’ এর দেওয়া সমস্ত গাইডলাইন মেনে চলছে এই সমস্ত দেশগুলো। এই তালিকায় রয়েছে ৩০টি দেশ।
কোভিড আবহেও নিরাপদ ভ্রমণের অন্তর্ভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে এশিয়া থেকে মাত্র কয়েকটি দেশই রয়েছে৷ সেগুলো হল- শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত৷
এর পাশাপাশি এই তালিকায় থাকা আফ্রিকার দেশগুলো হল- মিশর, কেনিয়া, মরিশিয়াস, রুয়ান্ডা, তাঞ্জানিয়া, তিউনিশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা (কিছু অংশ)।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ভ্রমণের জন্য এখন সুরক্ষিত হল, পর্তুগাল, বুলগেরিয়া, তুরস্ক, ক্রোয়েশিয়া, স্লোভেনিয়া, ইউক্রেন, স্পেন (কিছু অংশ), রাশিয়া (কিছু অংশ)।
পাশাপাশি উত্তর আমেরিকা মহাদেশের কানাডা, মেক্সিকো (কিছু অংশ), আরুবা, কোস্টারিকা, জামাইকা, পানামা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোব্যাগো এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিল (কিছু অংশ), ইকুয়েডর (কিছু অংশ)।
এমনকী, অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশ এবং নিউজিল্যান্ডে ভ্রমণও এখন নিরাপদ।
সূত্র: নিউজ১৮
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]