দেশের পৌরসভাগুলোর কর্মচারীদের ১২ মাসের বেতন দিতে ব্যর্থ হলে পরিষদ বাতিল করে আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে ‘স্ট্রেংদেনিং দ্যা আরবান লোকাল গভর্ণমেন্টস্ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ন্যাশনাল পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা তাদের নিজস্ব আইনানুযায়ী চলে এবং নিজেদের আয়ে পরিচালিত হবে এমনটাই আইনে বলা আছে। দেশের বেশিরভাগ পৌরসভা তাদের স্টাফদের বেতন দিতে পারেন না উল্লেখ করে, যেসব পৌরসভা তাদের কর্মচারীদের ১২ মাস পর্যন্ত বেতন দিতে পারবে না তাদের পরিষদ ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে পৌরসভার আইনকে সংশোধন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাগুলোতে নিজস্ব আয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনেক অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করতে হলে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদসহ ইউনিয়ন পরিষদ জনপ্রতিনিধিদের শক্তিশালী করলেই হবে না, জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, শহরের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। পুরো দেশই শহরে রূপান্তরিত হবে।
আর শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে গেলে ঢাকায় আর মানুষকে থাকতে হবে না। জনগণ শহরের সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা হাতের নাগালেই পাবে।
পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রমুখ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]