কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর গ্রামে বোন জামাইয়ের (ভগ্নিপতি) দেয়া আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন আব্দুল কাদের ও তার স্ত্রীর শারমিনা। বেচে যাওয়া একমাত্র এতিম কন্যার চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের কাছে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার নগদ ৫০,০০০/= হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া উপজেলা পরিষদের আমিনুল ইসলাম লাল্টু, চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ডালিম হোসেন, কেরালকাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স.ম মোরশেদ আলী, শিশুর দাদা আহাদ আলী গাজী।
অগ্নিদগ্ধের পর ৩ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে ১ জুন বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটির বাবা আব্দুল কাদের। মাতা শারমিন সুলতানা ১৫ জুন বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ছয়টার সময় মারা যান।
আব্দুল কাদের উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের আহাদ আলীর গাজীর পুত্র।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে (রবিবার) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চন্দনপুর গ্রামে ছোটবোনের স্বামীর দেয়া পেট্রোল-আগুনে ঘুমন্ত অবস্থায় মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ হন আব্দুল কাদের (৩০), তার স্ত্রী শারমিন খাতুন (২৫) ও শিশু কন্যা ফাতেমা (৭)। বিরোধের জের ধরে ছোট বোনের স্বামী যশোরের শার্শা উপজেলার নারায়নপুর পোড়াবাড়ি এলাকার আব্দুল বারীর ছেলে সবুজ হোসেন গভীর রাতে আব্দুল কাদেরের টিনশেডের ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা বদ্ধ করে জানালা দিয়ে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা ওই ৩ ব্যক্তির উপর পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে মারাত্মকভাবে ঝলসে যায় তিনজনই। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই অভিযুক্ত সবুজের সহযোগি বন্ধু কাঁদপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান বিহারীর পুত্র সোহাগ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘আব্দুল কাদেরের বোন সুফিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে সোহাগকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সবুজকে আটকের চেষ্টা চলছে।’
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]