কলারোয়ায় তীব্র পানি সংকটের কবলে এ এলাকার মানুষ। গভীর অগভীর নলকুপে পানি না ওঠায় ঘরোয়া ও সেচের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে।
নলকুপে পানি না ওঠায় মুসকিলে পড়েছেন কৃষক, মাছ চাষী, গরুর খামারিরা ও বাসাবাড়ির গৃহিনিরা। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় নলকুপ ও সেচপাম্পে পানি উঠছে না। গেলো ভাদ্র ও আষাঢ় মাষে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ভুগর্ভের পানি নিচে নেমে যাচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে ফাল্গুন মাস থেকে পানির সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হলে সমস্যা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে।
এমন পানি সংকট দীর্ঘ মেয়াদি হলে চরম ক্ষতির সম্মূখীন হবেন কৃষক সহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ, এমনটাই ভাবছেন স্থানীয়রা। এই মুহুর্তে এক ফসলা বৃষ্টি পারে পানির সমস্যা সমাধান করতে।
কলারোয়ার জয়নগর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খুব কম সংখ্যাক নলকুপে পানি উঠছে তাও পরিমানে অনেক কম। অধিকাংশ নলকুপে পানি উঠছে না, বাসাবাড়ির সেচ মটর দিয়ে পানি তোলার চেষ্টাও ব্যর্থ। ভোর সকালে মোটরে পানি উঠছে তাও খুব সীমিত।
কলারোয়ার ধানদিয়ায় সেচপাম্প চালক সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ বাহার জানিয়েছেন, সেচ পাম্পে পানি কম উঠছে প্রয়োজনের তুলনায়। ধানের জমিতে প্রতিদিন পানি দিতে হচ্ছে, দিতে দিতে শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন পাম্প চালাতে হচ্ছে।
কলারোয়ার জয়নগরের একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে জানা গেছে, টিউবয়েল ও পানির পাম্পে পানি ওঠছে না, যদিও উঠছে তা সীমিত সংখ্যাক টিউবওয়েলে তাও খুব সামান্য পরিমান। এতে তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। ঘরোয়া কাজে পানির চাহিদা মেটাচ্ছে পুকুর কিংবা নদীর পানি দিয়ে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]