অর্থাভাবে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে ইমদাদুল হক (২৯) নামের এক ব্যক্তি। তার মাথার খুলি খুলে ফেলে কৃত্রিম ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে আইসিইউ'তে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা।
ইমদাদুল হক উপজেলার ফৈজুল্যাপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের পুত্র।
স্থানীয় বামনখালি বাজারে ফটোস্ট্যাটের দোকানে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করতো।
জানা গেছে, গত ৩১-৮-২৩ তারিখে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন ইমদাদুল হক। সেখানে তার পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ডেঙ্গু সনাক্ত হলে এবং প্লাটিলেট কাউন্ট অস্বাভাবিকভাবে কমে গেলে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাকালীন সময়ে বাথরুমে পড়ে গিয়ে তিনি মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। ক্রমাগত অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডা. কাজী আরিফের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে খুলনা সিটি মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। একের পর এক বিপদ যেনো তার কাটলোই না। চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে ৪০% সম্ভাবনা নিয়ে ইমদাদুল হকের অপারেশন করে মাথার খুলি খুলে ফেলে (চলমান) কৃত্রিম ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে আইসিইউ'তে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল এবং আরো অবনতি হলে পরে আইসিইউ সাপোর্টেড এম্বুলেন্সে ঢাকার সাভারে অবস্থিত এনাম মেডিকেল কলেজ হাস্পাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই আইসিইউ'তে মৃত্যুর প্রহর গুনছে ইমদাদুল হক। কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে চলছে তার শ্বাসক্রিয়া।
দরিদ্র পরিবারের ইমদাদুল হকের চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে দশ লাখের উপর টাকা খরচ হয়েছে। অর্থাভাবে নিঃস্বপ্রায় এখন তার পরিবার।
এক বছর বয়সী এক পুত্র সন্তানের পিতা ইমদাদুল হক সকলের দোয়া ও সাহায্য প্রার্থী।
সহৃদয়বান যে কেউ তার সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে পারেন। সহযোগিতার বিকাশ নাম্বার (নিজের) ০১৭৪৭৩২৯৫০৭।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]