নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া পাকুড়িয়া মাঠে আগাম ইরি-বোরো ধান চাষ হওয়ায় ও পাশাপাশি আবহাওয়ায় অনুকূল থাকায় ধানের বাম্পার ফলনে সম্ভবনা দেখছে এলাকার কৃশকরা। এখনও সারা উপজেলা ইরি ধানের চারা পরিচর্যা করার জন্যে কৃষক ব্যস্ত পার করছে।সেই ধানচাষ খ্যাত পাকুড়িয়া এখন ঘন সবুজ ঘেরা ধানের সমারোহ। এলাকা বাসী আশা করছেন এ বছর ধানের বাম্পার ফলনে সম্ভবনায়, কৃষকের মুখে হাসি ফুটেবে ।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ১টি পৌরসভায় ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছে কৃষকরা।
এই মৌসুমে উপজেলায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরোর চাষ হয়েছে।এ বছর উপজেলা বিভিন্ন স্থানে ১২টি জাতের ধানের চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের কূষকরা আশা করছেন আগামী ঈদের ঈদুল ফেতরে আগে অথবা চলতি মাসের শেষের দিকে তাদের কাঙ্ক্ষিত সোনালী ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।কৃষি অফিস তথ্যমতে, এই আগাম ধান ঘরে তুলতে উপজেলা কৃষি অফিস নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
কৃষকদের নিয়ে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন ধানের রোগ ও পোকামাকড দমনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। দেয়াড়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের ধানচাষি মহিলা মেম্বার আকলিমা খাতুন জানান, এবার ৬ বিঘা জমিতে ইরি ধানের চাষ করেছি। গত বোরো মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ছিলাম। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানও খুব ভালই ফলন হবে। প্রতিটি ক্ষেতে ধানের শিশে থোড় সোনার মত জ্বলছে। বাজারে ভাল দাম পেলে লাভবান হতে পারবো।
ইউনিয়নের দেয়াড়া মাঠপাড়া পাড়ার ধান চাষি করিম চৌধুরী জানান, এবার ১২ বিঘা জমিতে ধানের চাষ করেছি। এর মধ্যে ব্রি-২৮ জাতের ধান আছে ৫ বিঘা। বাকি ৭ ব্রি-২৯ জাতের ব্রি-৬৩। ভাল ফলনে এবার স্বপ্ন দেখছি ভাল দামের। আর কিছু দিন পরেই সোনালী ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠবে কৃষকের বাড়ির উঠান।একই এলাকার বর্গাচাষি গনি মিয়া জানান,প্র্রতিবেশীর নিকট দেড় বিঘা জমি বর্গা নিয়ে হাইব্রিড ধানের চাষ করছি। এই দোলায় (মাঠে) আমার মতো ধান কারো ফলেনি। বিঘায় ২৫ মন ধানের আশা করছি। প্রতিদিন আসি আর ধান কাটার স্বপ্ন দেখি।আশা করি আগাম ধান উঠলে ধানের বাজার ভাল পাব। বাকি দিনগুলি মোটামুটি ভালই চলে যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শুভ্রাংশদাশ জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পোকা মাকড়ের উপদ্রব ছাড়াই কৃষক ধান ঘরে তুলতে পারবে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকের মাঝে গিয়ে নানা পরামর্শ দিচ্ছে। এবার ধানের বাম্পার ফলনও হয়েছে। আশা করি, এসব ধানে এবারও বাম্পার ফলন হবে। বাজারে ধানের দাম ভাল পেলে কৃষকের শতভাগ স্বপ্ন পূরণ হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]