সাতক্ষীরার কলারোয়ার বামনখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী নায়েব আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী দেয়াড়া ইউনিয়নের মৃত আকরম আলীর ছেলে গোলাম রসুল জানান, গত ২৫ জানুয়ারী উপজেলার দেয়াড়া গ্ৰামের মামলাবাজ আবু বাক্কার খান পূর্ব শক্রতার জেরে কোন ঘটনা ছাড়াই মিথ্যা গল্প রচনা করে আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে।
ঐ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্যে বিজ্ঞ আদালত (১৪৫ ধারা) তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব আনিছুর রহমানকে নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি কৌশলে মামলার বাদীর সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সরেজমিনে তদন্ত ছাড়াই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন।
গোলাম রসুল আরো জানান, তদন্তের জন্য নায়েব আমাদেরকে কোন ধরনের নোটিশ দেন নাই। এমনকি কোন দিন নালিশি জমির সরেজমিনে তদন্ত করেননি বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমারা নালিশি জমি দীর্ঘদিন যাবত ক্রয় সূত্রে ভোগ দখল করে আসছি। বাদী পক্ষের সাথে কখনো কোন রকম ঝামেলা সৃষ্টি হয়নি। আমাদের মূল দলিল ও এসএ রেকর্ড আছে। ভুলবশতঃ ৯০ এর রেকর্ড না থাকার কারণে বিজ্ঞ আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা, ল্যান্ড সার্ভে ও সিভিল মামলা চলমান আছে। যার মামলা নং ৭২/১০।
মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি জানতে পেরে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন হয়রানির শিকার হওয়া ভুক্তভোগী ওই পরিবারের সদস্যরা।
এ সময় ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনও এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সঠিক তদন্ত করার দাবি জানান।
মামলার বাদী আবু বক্কার জানান, আমার ৯০ এর রেকর্ড আছে, কিন্তু জমির দখল নাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নায়েব আনিসুর রহমান জানান, আইন মেনেই ১৪৫ ধারার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। কোন মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করিনি।
উল্লেখ্য; নায়েব আনিসুর রহমান তালা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দায়িত্বে থাকাকালীন তার নানা অনিয়মের প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর তাকে কলারোয়ার বামনখালি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলি করা হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]