কলারোয়া (সাতক্ষীরা )প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়ার উপজেলার দেয়াড়া পাকুড়িয়া মাঠে মাঠে এখন ইরি-বোরো ধান ক্ষেত পরিচর্যা ও সার প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষিতে স্বর্ণ পদক প্রাপ্তি এক ব্যতিক্রমধর্মী নারী উদ্যোক্তা ও দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের দুইবার সরাসরি ভোটের নির্বাচিত সংরক্ষিত নারীসদস্য কৃষাণী আকলিমা খাতুন সহ কৃষকেরা। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ইরি-বোরো ক্ষেতে সময় দিচ্ছেন তারা। এ অঞ্চলে এ বছর আগাম ইরি-বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে বলে জানাগেছে। এখন মাঠের পর মাঠ, যে দিকে চোখ যায়, সে দিকে দেখা যাচ্ছে কচি সবুজ, দেখা যাচ্ছে মাঠে সবুজের সমারোহ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন মাঠে দেখা যায়- কৃষকেরা কেউ সার-কীটনাশক প্রয়োগ করছেন, কেউবা আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ আবার জমিতে পানি সেচের কাজে ব্যস্ত। এই দৃশ্য দেখে মনে হলো, কৃষকদের কাঙ্খিত ফসল ভালোভাবে ফলাতে দম ফেলানোর সময় নেই তাদের।ঐ অঞ্চলের সফল চাষী আলমগীর হোসেন বলেন- আমি প্রায় ৫ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করিছি।
ধানের জমি থেকে আগাছা পরিস্কার করা শেষ হয়েছে। এখন ধান ক্ষেতে সার প্রয়োগ করছি। চারা গাছের চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে এবার ভালো ফলন পাওয়া যেতে পারে। তবে, পোকার আক্রমন বেশি দেখা যাচ্ছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচের পানি কম উঠছে। এতে একটু সমস্যা হচ্ছে। তারপরেও ভালো ফলন হবে ইনশাআল্লাহ।
এ দিকে গয়ড়আ গ্ৰামের গ আবু তালেব বলেন- খালিয়ার মাঠে কিছু কিছু জমিতে আগে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। এখন চারার আগাছা পরিষ্কার শেষ করে সার প্রয়োগের কাজ চলছে। তিনি বলেন- আমাদের এই সোনালী ফসল ঘরে তুলার আগ পর্যন্ত ব্যস্ততা থাকবে।
নারী উদ্যোগতা কৃষাণী আকলিমা খাতুন বলেন আমরা সাধারণত কৃষির ওপর নীর্ভরশীল, তাই এই ইরি-বোরো আবাদের পুরো সময় আমাদের ভালো ফলনের আশায় পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকতে হয়।
বুঝলা কিছু কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানিয়েছেন-এবছর কলারোয়া উপজেলায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে কলারোয়া অঞ্চলে বেশি ফলনশীল হাইব্রিড জাতের ধান জমিতে রোপন করেছেন কৃষকরা। এজন্য ভালো ফলনসহ লক্ষ্যমাত্রা র্নিধারণ হবে এটায় আশা করছি।
কৃষিবিদরা আরও জানান- কৃষকেরা মনপ্রান দিয়ে জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করছেন এবং নিয়মিতভাবে তারা পরিচর্যার কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন। যাতে প্রাকৃতিকভাবে কোনো ক্ষতি হওয়ার আগে তারা ফসল ঘরে তুলতে পারেন।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে- চলতি বছর এ অঞ্চলে ইরি-বোরো আবাদে রড মিনিকেট, হিরা, ব্রিসহ হাইব্রিট জাতের ধান আবাদ করেছেন কৃষকেরা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]