অল্প সময়ে কুল চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় কৃষক ও শিক্ষিত বেকার যুবকরা ঝুকছে কুল চাষের দিকে। কুল উচ্চ ফলনশীল জাতের ফল হওয়ায়, শীতকালে বাজারে চাহিদা থাকে ব্যাপক। সাতক্ষীরার বাজারে কুলের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, সাভার, গাজিপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়।
কুলগাছ লাগানোর ৭ মাস পর থেকে গাছে ফুল আসতে শুরু হয়। কুলের কাঁচা-পাকায় গায়ের রং সবুজ, হলদে, গাড় খয়েরি ও ভেতরের রং সাদা। প্রতি বিঘায় কুলবাগানে বছরে খরচ হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা
খরচ বাদে বিঘায় প্রায় এক লাখ টাকা লাভ হয়। শিক্ষিত বেকার যুবকরা কুলবাগান দেখে চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০--৭০ টাকা দরে। কুলের সাইজ বড় হওয়ায় এক কেজিতে ১৪-১৮টি হয়। কুল গাছের ডাল থোকায় থোকায় কুলে ভরে গেছে।
সাতক্ষীরার কলারোয়ার আইচপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম সুজন ও কেঁড়াগাছি গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা রানাহোসেন জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষি নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করি। সেই চিন্তা থেকে ভারতসুন্দরী ও বলসুন্দরী জাতের কুল চাষ করছি ৬ বিঘা জমিতে। বাগানের বয়স ৯ মাস।
ফলন ভালো হওয়ায় বিঘায় ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভ হবে খরচ বাদে। কুলবাগান করতে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ ছাড়া আম, পেয়ারা সহ অন্য ফসল চাষ করছি।
কলারোয়া উপজেলার গাড়াখালি গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম জানান, উচ্চ ফলনশীল জাতের কুলের চারা সংগ্রহ করে চাষ করছি। লাভজনক ব্যবসা, খরচ তুলনামূলক অনেক কম। এ চাষে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে প্রতি বছর। ভালো জাত নির্বাচন করে কুল চাষ করতে হবে।
টক-মিষ্টিসহ বিভিন্ন জাতের কুল চাষ হচ্ছে। কুল শীতকালীন ফল। বাজারে কুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতারা কাছে।
সাতক্ষীরার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্য জেলায় যাচ্ছে। বাগান মালিক ও কৃষকদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। এ মৌসুমে আশানারুপ কুল বিক্রি হবে আশা করছেন কুল চাষীরা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]