জাহাঙ্গীর হোসেন, কলারোয়া: কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের খোরদো গ্রামের আব্দুল মালেক সরদারকে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ একই এলাকার মৃত আব্দুল কাদের এর ছেলে মনিরুল ইসলাম ও ময়নুল ইসলাম লিটন, মনিরুল ইসলামের ছেলে জোহান ও স্ত্রী ঋনা'র বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে আহতের মেয়ে ছালমা খাতুন বলেন জমি-জমা সংক্রান্তে বিরোধের কারনে আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভাবে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি করা সহ মারপিট করে খুন জখমের হুমকী প্রদান করে আসছিলো। গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় সকল তাঁরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে ধারালো হাসুয়া, রামদা, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি সহ অনধিকারে আমার পিতার বসত বাড়ীতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে।
ঐ সময় আমার পিতা আব্দুল মালেক সরদার আসামীদের প্রতিবাদ করিলে আসামীরা আমার পিতার সারা শরীরে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করিয়া নীলা ফোলা জখম করে। মনিরুল ইসলাম আমাকে খুন করার হুকুম দিলে জোহান তাহার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার পিতার মাথায় কোপ মারিয়া গুরুতর হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম করে।
ঐ সময় আমার পিতা উঠানে পড়ে গেলে ময়নুল ইসলাম লিটন ও ঝর্ণা বেগম তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার পিতা মাথা সহ সারা শরীরে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করিয়া নীলা ফোলা জখম করে। ঐ সময় আমার পিতাকে রক্ষা করার জন্য আমার মা সকিনা খাতুন আগিয়ে আসলে আসামীরা আমার মাকেও এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করিয়া নীলা ফোলা জখম করে।
এ সময় চয়ন হোসেন আমার মাকে লাথি মারিয়া ফেলে দিলে মনিরুল ইসলাম আমার মায়ের বুক পেট পাড়াইয়া ফোলা জখম করে এবং পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায়। ঝর্ণা বেগম আমার মায়ের গলায় থাকা একভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন মূল্য ৯৫,০০০/- টাকা টান দিয়ে ছিড়ে নেয়। ময়নুল ইসলাম লিটন আমার মায়ের বাম কান হইতে একটি স্বর্ণের দুল ওজন ০৪ আনা মূল্য ২৩,০০০/- টাকা জোর পূর্বক খুলে নেয়।
তারপর সকল আসামীরা আমাদের দোকানের মধ্যে প্রবেশ করে বিভিন্ন জিনিষপত্র ভাংচুর করে অনুমান ১২,০০০/- টাকা পরিমান ক্ষতি সাধন করে। মনিরুল ইসলাম আমাদের দোকানের ক্যাশ ড্রয়ার হইতে নগদ ৪৭,৫০০/- টাকা বাহির করিয়া নেয়। ঐ সময় আমার বাবা ও মায়ের ডাকচিৎকারে আশে পাশের লোকজন আসতে দেখে আসামীরা খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়।
এলাকা বাসী আমার পিতা মাতাকে উদ্ধার করিয়া চিকিৎসার জন্য কলারোয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করি। তাঁরা বর্তমানে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। আমরা এর একটা সুস্থ বিচার চাই এই নিয়ে আমার মা বাবা পরিবারের উপর ৪ বার হামলা হয়েছে। আমি নিজে বাদি হয়ে কলারোয়া থানা একটা অভিযোগ করেছি।
থানায় অভিযোগ করায় বিবাদীরা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এই বিষয়ে বিবাদী ময়নুল বলেন আমরা স্ত্রী তাঁদের বাড়ির সামনে দিয়ে পুকুরে পানি যাচ্ছিলো আব্দুল মালেক সরদার তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এই নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। সেখান রাস্তায় উপর পড়ে গিয়ে মাথা কেটে যায় মালেকের।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]