কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাটরা গ্রামের একাংশ জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। নদীর পানির চাপ ও বর্ষা মৌসুমের পানির প্রভাবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৫০ টির মতো পরিবার। বৃষ্টি বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে পানি। জমে পড়া পানি নিষ্কাশিত হওয়ার সকল পথ রুদ্ধ থাকায় জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নিচ্ছে। এ অবস্থায় মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে সরেজমিন উত্তর বাটরা গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। অনেক বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। প্লাবিত হয়ে গেছে অনেক রাস্তা। পানিতে ডুবে গেছে ফসলের বিস্তীর্ণ মাঠ। পানিতে ডুবে গেছে ধানের ক্ষেতগুলো। সবমিলিয়ে এ জনপদের মানুষ দুঃসহ সময় পার করছেন। এ গ্রামের আবদুল গফ্ফার, জিয়ারুল, আসারত, আশরাফ আলি, রহিম মোড়ল, মোশারফ, রাশেদুল, আবদুল্লাহ, নজুবারসহ বেশিরভাগ মানুষের বাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। উত্তর বাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেও পানি ঢুকে গেছে। এ বিষয়ে কথা হয়, জালালাবাদ ইউনিয়নের ৭ নং ইউপি সদস্য মোজব্বার আলির সাথে। তিনি জানান, চলতি বছরে একটি মাছের ঘেরের পাড় নির্মাণ করায় কোদালকাটা খালের প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এই খালের পানি সোনাখাল দিয়ে কপোতাক্ষ নদীতে পড়তো। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে উত্তর বাটরা গ্রামে পানি ঢুকলেও তা নিষ্কাশিত হয়ে যেতো। কিন্তু জনৈক নীরুর ঘেরের কারণে এবছর পানি কালভার্ট দিয়ে বের হতে পারছে না। কেননা, খাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নিচ্ছে। ইউপি সদস্য মোজব্বার আলি আরও বলেন, প্রায় দুই শ বিঘার মতো ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। ফসলের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো এই জলাবদ্ধতার কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন। উত্তর বাটরা গ্রামের আব্দুল হামিদ জানান, তাঁর ৪ বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে। গ্রামের কেনো চাষি এবার ধান ঘরে তুলতে পারবেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাটরা ছাড়াও বুইতা, আহসাননগর, শংকরপুর, বদ্দিপুর গ্রামেও আংশিক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী চাইছেন এই খাল সংস্কারের মাধ্যমে পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে। যাতে তাদের অতিবৃষ্টির সময়ে জলাবদ্ধতার মুখে পড়তে না হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]