দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বাবু,(নিজস্ব প্রতিবেদক): বৃষ্টির প্রয়োজন থাকলেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত বৃষ্টি ক্ষতিকর। তেমনি টানা বৃষ্টিতে কলারোয়ার পুকুর, ডোবা, নদী, নালায় পানিতে ভরে এখন লোকালয়ে পৌঁছানো সময়ের অপেক্ষা মাত্র। টানা ৪/৫ দিনের বৃষ্টিতে একদিকে যেমন নদী নালা ভরে গেছে তেমনি শ্রমজীবি মানুষ কর্মহীন অসহায় হয়ে পড়েছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে যাদের কর্মের সন্ধান করার কথা তারা এখন গ্রাম গঞ্জের দোকানে, হাটে, বাজারে, পাড়ার ক্লাবে অসহায় মুখ করে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই তাদের। বৃষ্টি যেনো তাদের মুখের মলিন হাসি টুকুও কেড়ে নিয়েছে।
যাদের একদিনও বসে থাকতে দেখা যায় না, রোগ, শোক, জ্বরা ব্যাধি উপেক্ষা করে সংসারের ঘানি টানতে দেখা যায়, তারা আজ বৃষ্টির কাছে অসহায় হয়ে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায়। যাদের সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, যারা এক বেলাও থেমে থাকে না, যাদের শ্রম বিক্রি ছাড়া সংসার চলেনা। ৪/৫ দিনের বৃষ্টি তাদের কর্মহীন করে দিয়েছে। কিভাবে চলছে তাদের সংসার এমনি প্রশ্ন প্রতিবেদকের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে?
টানা বৃষ্টিতে লোকালয়ের পানি ও প্রবাহমান পানি একত্রিত হয়ে কপোতাক্ষে পানি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেছে। তবে জয়নগর বাজারের পাশ্ববর্তি কপোতাক্ষের সংযুক্ত সুইচ গেটে পানি অন্য সময়ের চেয়ে বেশি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
কলারোয়ার জয়নগরের একাধিক দিনমজুরদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, তাদের সংসার এখন খুবি কষ্টের উপর চলছে, সঞ্চয় বলে তাদের কিছুই না থাকায় এ অবস্থা তাদের, তার উপর ঋণের কিস্তি কারও সপ্তাহে একটি কারও আবার ২/৪ টি। এক দিকে সংসার তার উপর ঋণের কিস্তি, কর্মহীন এই পরিবার গুলোর কপালে গভীর চিন্তার ভাজ লক্ষনীয়।
পরিশেষে বলতে হয় বৃষ্টি কৃষি ও কৃষকের জন্য অতি অপ্রয়োজনীয় হলেও তা মাত্রাতিরিক্ত হলে কৃষি ও কৃষকের গলার কাটা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]