কলারোয়ার জয়নগরের দিগন্তজোড়া সরিষা ফুলে হাস্যোজ্জ্বল মাঠ। হলুদ সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ, দিগন্ত জোড়া সরিষা ফুলে মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য বিরাজ করছে এ এলাকার মাঠগুলো। সৌন্দর্যের কমতি নেই। ফুলে ফুলে দেখা মিলেছে মধু সংগ্রহকারী পতঙ্গ মৌমাছিদের। তারা যেন নাওয়া খাওয়া ভুলে মধু সংগ্রহের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। দিগন্তজোড়া এমন বাহারি সৌন্দর্য নজর কাড়ছে এলাকার মানুষদের। বাহারি এমন মনমুগ্ধকর দৃশ্য ও নজর ঘোরানো সৌন্দর্য, বছরের এই সময়টিতে লক্ষ্য করা যায়।
জয়নগরের মাঠগুলো ঘুরে দেখা গেছে সবখানেই সরিষা ফুলের বাহারি মনভোলানো দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য। হলুদে হলুদে ছেয়ে গেছে সারা মাঠ, দেখামাত্রই দৃষ্টি যেন থমকে যাচ্ছে।
এবছর ধারণা করা হয়েছিল অন্যান্যবারের তুলনায় সরিষা চাষে রেকর্ড ছাড়াবে কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে সরিষা সহ শীতকালীন শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি করে দিয়েছে বৃষ্টি। তারপরও যে পরিমাণ সরিষা এখনো মাঠে রয়েছে সেগুলোর ফলন ভালো লক্ষ্য করা গেছে। একটু ভালো ফলনের আশায় কৃষক তাই সরিষা পরিচর্যায় কমতি রাখছেন না।
জয়নগরের কৃষক শান্তি দাস জানিয়েছেন, এ বছর ৩ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছিলেন কিন্তু ১.৫ বিঘা জমির সরিষা নষ্ট হয়ে গেছে বৃষ্টিতে আর অবশিষ্ট আছে ১.৫বিঘা। এই অবশিষ্ট জমির সরিষার ফলন ভালো হবে এমনটা আশা করছেন তিনি। তিনি আরো জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে সরিষা নষ্ট না হলে ৩ বিঘা জমির সরিষা পেলে সারা বছরের তেলের চাহিদা তিনি মেটাতে পারতেন।
জয়নগরের আরেক কৃষক শুভঙ্কর মন্ডল জানিয়েছেন, তিনি ৩ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছিলেন কিন্তু ১ বিঘা জমির সরিষা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে, বাকি ২ বিঘা সরিষা ভালো ফলন দেবে বলে তিনি আশা করছেন এবং পরিচর্যার কোন কমতি রাখছেন না।
উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এবছর কলারোয়াতে ৬ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। মাঠ পরিদর্শন করে তিনি প্রচুর অনাবাদি জমি দেখতে পেয়েছেন। যে জমিগুলোতেও সরিষা আবাদ করা হয়েছিল, কিন্তু সে জমির সরিষাগুলো বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে অনাবাদিতে পরিণত হয়েছে। তবে এখনই তিনি কিছু বলতে পারছেন না এ বছর সরিষার আবাদ কেমন হবে, যেহেতু গাছে এখনোও সরিষা ফুল ধরে আছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : kalaroanews33@gmail.com