কলারোয়ার মধ্যবিত্ত ও নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর মুখে অভাবের মলিন হাসি। দেখলেই যেনো মনে হয় অভাব এদের নিত্য সঙ্গী। সংসার নামের ভারী বোঝা বইতে বইতে ক্লান্ত বোধয়? দ্রব্যমুল্যের উর্ধোগতিতে তাদের হাতেগোনা মজুরী এক নিমিষে গ্রাস করছে কাঁচা বাজার, পড়ে রইলো সংসারের বাকি চাহিদা?
একজন কর্তার ইনকামে সংসার, প্রতিদিনের মজুরি ৩০০/৫০০ টাকা সেই টাকায় হাজারো চাহিদা এক পলকে তাকিয়ে আছে। তার পরেও যদি তার কাজ বন্ধ হয় তাহলে তো কথায় নেই। কিভাবে চালাবে সংসার সেই ভাবনায় মুখ লুকিয়ে কি যেনো ভাবছে সবার অগোচরে। মুখ ফুটে যদিও বলছে কারও সাথে কেও হেসে উড়িয়ে দিচ্ছে আবার কেও বাড়াচ্ছে সাহায্যের হাত। দিন শেষে দিনমজুর পরিবারগুলোর মুখে মলিন হাসি।
যদি বলি সরকারি এত সাহায্য গরিবদের জন্য তাহলে? সেগুলোও তাদের নাগালেরও বাইরে, প্রকৃত অসহায় পরিবারগুলোকে বঞ্চিত হতে দেখা যায়, কিছু মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা একটু সুচতুর কৌশল ও টাকার বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে নিন্ম মধ্যবিত্তদের মুখের গ্রাস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির ভাষ্য, এবার ঈদে পরিবারের সদস্যদের মুখে একটু সেমাই তুলে দিতে পারিনি। মাংস সেটা যদি কুরবানির মাংস না পেতাম তাহলে সেটাও জুটতো না। তার উপরে এক অতিথি নিজে থেকে দাওয়াত নিচ্ছে। মড়ার উপরে খাড়ার ঘাঁ।
সমাজে আমাদেরই পাশে এমন হাজারো নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারের উপর দ্রব্যমুল্য নামের অভিশাপ দিনরাত ছুরিকাঘাত করছে। নিরবে মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া কিছুই যেনো করার থাকে না তাদের।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]