সাতক্ষীরার কলারোয়ায় খাদিজা খাতুন (২) নামের নিজের মেয়েকে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মা আছমা খাতুনের (৩০) বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কলারোয়ার বাটরা গ্রামে নিহত শিশুর নানাবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ নিহত মেয়েকে উদ্ধার ও মাকে আটক করেছে।
আছমা খাতুন বাটরা মিলপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মাজেদের মেয়ে ও কুশোডাঙ্গা গ্রামের তৌহিদুর রহমানের স্ত্রী।
নিহতের নানা বাড়ির স্বজনরা জানান, ‘১০ বছর আগে তৌহিদুর রহমানের সাথে আছমা খাতুনের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বছর খানেক হলো আছমার মাঝে মাঝে মানসিক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়। এ কারণে জামাতা তৌহিদুর ছেলে-মেয়েসহ আছমাকে বাটরায় পাঠিয়ে দেয়। শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রান্না ঘরের বটি দিয়ে ২ বছর বয়সী মেয়ে খাদিজা খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করে তার মা আছমা। তাকে হত্যার পর ৫ বছর বয়সী ছেলে তানভির হোসেনকে হত্যা করতে উদ্যত হলে নিহতের নানী আলেয়া খাতুন পাশের বাড়ি থেকে এসে তাকে নিবৃত করে।’
ওই গ্রামের জুয়েলসহ আরো কয়েকজন জানান, ‘শিশুটির মা আছমা খাতুন মানসিক ভারসাম্যহীন। শুক্রবার বেলা ১০/১১টার দিকে আছমা তার মা ও চাচীর সাথে ঝগড়া করে। সেসময় আছমার মা আছমাকে কবিরাজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভ্যান ডাকতে গেলে সেই সুযোগে বাড়ির বারান্দায় তার শিশু কন্যা খাদিজা খাতুনকে বটি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে মা আছমা। পরে ৪ বছর বয়সী পুত্র তানভির হোসেনকেও হত্যা করতে উদ্যত হলে আছমার মা ও অন্যরা এসে তাকে নিবৃত করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শিশুর লাশ ও ঘাতক মা’কে নিয়ে যায়।
কলারোয়া থানার ওসি শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে শিশু মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এছাড়া নিজ সন্তানকে হত্যা করার অভিযোগে আছমা খাতুনকে আটক করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় নিহতের চাচা কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলে জানান ওসি।
[caption id="attachment_180117" align="alignnone" width="370"] মানসিক ভারসাম্যহীন ঘাতক মা আছমা খাতুন[/caption]
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]