কলারোয়া পৌর সদরের গদখালী গ্রামের ইদ্রিস আলীর নির্মাণাধীন বসতবাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার সকাল নয়টার দিকে একই গ্রামের প্রতিবেশী আত্মীয় মৃত নিয়ামত আলী সরদারের পুত্র ছেফাতুল্লাহ ও তার স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন, কেফাতুল্লাহ সরদারের স্ত্রী রেহেনা খাতুন ও পুত্র বাবু,মিলে নির্মানাধীন বাড়িটি ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ইদ্রিস আলীর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বাদী হয়ে ঐ চার জনের নামে কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
লিখিত অভিযোগে ইদ্রিস আলী ঢালীর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন বলেন- আমাদের ঝিকরা মৌজার সাবেক ২১৪ নং দাগের জমির উপরে নির্মিত বসত বাড়িটি ভাংচুর করেছে ছিপাতুলাহ সহ বর্ণিত বিবাদীগন। আমার সাথে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে পূর্ব শত্রুতা আছে। ঝিকরা মৌজার সাবেক ২১৪ নম্বর দাগে ২০ শতক জমি। উক্ত জমি জবর দখলের পায়তারা থাকিয়া অপরাধমূলক ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা কালে আমি বিজ্ঞ আদালতে পি ১৪৬২ নম্বর মামলা দায়ের করি।
ইহা আমার পক্ষে রায় হয়। রায়ের পর হতে আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকা দাবি করিয়া আসিতেছে। দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয় তফসীল জমিতে লিংটনের পূর্ব পর্যন্ত স্থাপনা ভেঙে ফেলে। বিবাদীরা পরস্পর যোগসাজশে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই জমি জবরদখল পূর্বক ২৭ মার্চ সকাল ৯ ঘটিকার সময় আমার নির্মিত ঘর ভাঙচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেছে এবং আমার স্বামী ইদ্রিস আলী ও আমাকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেছে। আমি বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কলারোয়া থানা পুলিশ, প্রশাসন ও আদালতের নিকট বিনীত আবেদন করছি।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মীর খায়রুল কবির ভাংচুরের ঘটনায একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি মীর খায়রুল কবির। তদন্ত কর্মকর্তা কলারোয়া থানার এসআই ইসমাইল হোসেন জানান- ইদ্রিস আলীর নির্মানাধীন বাড়ির পোতারোহী ইট সহ সমস্ত পিলারগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]