মোস্তফা হোসেন বাবলু, কলারোয়া (সাতক্ষীরা): কাকড় ও পটলের সঙ্গে একাকার হয়ে থাকা গাঁজার গাছগুলো এড়িয়ে যেতে পারেনি পুলিশের চোখ। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়লো চাষি। উদ্ধার হলো সাতটি ১০ ফুট লম্বা গাঁজার গাছ।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের চান্দুড়িয়া গ্রামে গোপনে গাঁজা চাষের অভিযোগে এক নরসুন্দরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাড়ির উঠানসংলগ্ন পটল ক্ষেতের ভেতরে ১০ ফুট লম্বা সাতটি গাঁজা গাছ রোপণ ও পরিচর্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অশোক কুমার পরমানিক (৪৯)। তিনি ওই গ্রামের মৃত কানাই পরমানিকের ছেলে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সাইফুল ইসলামের নির্দেশনায় এসআই নাসির উদ্দিন, আব্দুর রউফ, মিজানুর রহমান, আনিসুর রহমান, আনোয়ার হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স সোমবার অভিযান চালিয়ে গাঁজা গাছসহ তাকে আটক করে।
এসআই আনিসুর রহমান জানান, অশোক পেশায় একজন নরসুন্দর হলেও বাড়ির সামনের সবজি ক্ষেতের মধ্যে সাতটি গাঁজা গাছ চাষ করছিলেন। সেগুলোর পরিচর্যা করতেন এবং কাউকে ঐ স্থানে প্রবেশ করতে দিতেন না। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গাছসহ তাকে আটক করা হয়।
আটকের সময় অশোক কুমার পরমানিক বলেন, দুই মাস আগে কাকড় গাছ রোপনকালে ওই গাছগুলো উঠেছিলো। প্রথমে এগুলো তুলার গাছ ভেবেছিলাম। পরে বুঝেছি এগুলো গাঁজার গাছ।
কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ সাইফুল ইসলাম বলেন, গাঁজাগাছগুলোর প্রতিটির উচ্চতা প্রায় ১০ ফুট, যা কাঁচা অবস্থায় আনুমানিক ১৬ কেজি গাঁজার সমতুল্য। প্রতিকেজি শুকনো ও উন্নত গাঁজার বাজারমূল্য প্রায় ৫০হাজার টাকা। অভিযানে ধৃত গাছসহ অশোক কুমারকে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৭ নম্বর নিয়মিত মামলায় সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]