পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিনে কলারোয়ায় সকাল থেকেই ছিল মিষ্টি রৌদ্র উজ্জ্বল পরিবেশ। শুক্রবার (২৪ মার্চ/১০ চৈত্র) রোজার শুরু থেকেই কলারোয়ার সর্বস্তরের মানুষের জীবনযাত্রার রুটিন বদলে গেছে।
রোজার প্রথম দিনটিতে রোজাদার মুসল্লিদের তেমন বৈরী আবহাওয়ায় পড়তে হয়নি। দিনের বেলায় পানাহার বন্ধ। মহান আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ লাভের জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা দিনের বেলায় পানাহারে বিরত থেকে শুরু করেছেন সিয়াম সাধনা। ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের জাগতিক মোহ, সকল লোভ, লালসা দমন করে আত্মশুদ্ধির এই সাধনা চলবে পুরো রমজান মাসে। দিনে রোজা রাখার পাশাপাশি মুক্ত হস্তে দান খয়রাত ও বেশি বেশি নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এই মাসের দিনগুলো অতিবাহিত করবেন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রোজার প্রথম দিন থেকেই বদলে গেছে কলারোয়া পৌর সদর সহ বিভিন্ন এলাকার দৃশ্যপট। সবখানে হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর সামনে টাঙ্গানো আছে পর্দা।
দুপুর গড়াতে না গড়াতেই পাড়া-মহল্লার গলির মোড়ে, ফুটপাতে, বাজারে, খাবার দোকানের সামনে বসে যায় ঐতিহ্যবাহী নানা ধরনের ইফতার সামগ্রীর পসরা। কলারোয়া সরকারি কলেজ বাসস্টান্ড মোড়, উপজেলা পরিষদ মোড়, চৌরাস্তা, পশুহাট মোড়, পাকা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা, থানার মোড়, খাদ্য গুদাম এলাকা, ইউরেকা ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকা, কলাগাছি মোড়, মুরারীকাটি মোড়, যুগিবাড়ী বাজার সহ বিভিন্ন বাজারে, মসজিদের সামনের সড়কের পাশে নানান পদের ঘুগনি, ছোলা, পিয়াজু, বেগুনী, চপ, জিলাপি, ফিরনিসহ হরেক রকমের মুখরোচক উপকরণ নিয়ে বসে যায় ইফতারির বাজার।
ইফতারির তালিকায় হরেক রকম তেলে ভাজার পাশাপাশি রয়েছে তরমুজ, শসা, আপেল, খেজুর সহ সুস্বাদু ফলের সংযোগ। দুপুরের পর থেকেই এসব ফলের দোকান ও ইফতারির পসরাগুলোর সামনে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। প্রথম রোজার দিনে রোজাদারেরা চেষ্টা করেন বাড়িতে সপরিবারে ইফতার করতে। সে কারণে দ্রুত হাতের কাজ শেষ করে বাড়ি
ফেরার তাগিদ ছিল বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত মুসুল্লিদের। বেলা ডোবার সাথে সাথে কলারোয়ার পৌর সদর সহ বিভিন্ন এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে হয়ে যায় জনমানব শূন্য।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]