কলারোয়ায় প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাইরে বের হওয়া জনজীনের জন্য হুমকি হয়ে পড়ছে। যেদিকে দুচোখ যায় প্রচন্ড রোদ ও তাপদাহ, তার উপর মাটি ও রাস্তার পিচের উত্তপ্ততা চামড়া যেন ঝলসে যাওয়ার উপক্রম। বিশেষ করে বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রৌদ্র ও তাপের প্রকোপে বাইরে বের হওয়া যেনো দুরুহ ব্যাপার হয়ে পড়েছে।
গ্রামগঞ্চে যদিও একটু ছায়া প্রশান্তির বাতাস পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু শহর অঞ্চলে মানুষের ভিড়ে, পিচের গরম, বৃক্ষ হীন অঞ্চল যেনো আগুনের লেলিহানের মত তাপ বিরাজ করছে।
উপজেলার জয়নগরের প্রধান সড়ক গুলোর দিকে নজর দিলে দেখা যাবে খুব কম সংখ্যক পরিবহন ও মানুষের বিচরণ। খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেও ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
কলারোয়ার শংকরপুরের ভ্যানচালক শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাইরে প্রচন্ড তাপ যার কারণে রাস্তায় যাত্রিরা নেই বল্লেই চলে। রমজান মাসে এমন প্রচন্ড তাপ ও রৌদ্রের কারণে রোজাদার বেক্তিরা খুব কষ্ট পাচ্ছে এবং তারা খুব কম বাইরে বের হচ্ছেন।
তিনি আরও জানিয়েছেন- তিনি নিজেও রাস্তায় টিকতে না পেরে বাড়ির উদ্যেশ্য রওনা দেন সকাল সকাল।
জয়নগরের কৃপারামপুর গ্রামের আব্দুল শেখ পেশায় একজন কৃষক। মাঠ থেকে ফেরার পর তার অবস্থা শোচনীয়, প্রচন্ড তাপ ও গরমে নাভিশ্বাস প্রায়। সংসার চালানোর তাগিদে রোদ গরম উপেক্ষা করে কাজ করতে হচ্ছে পেটের তাগিদে।
তিনি জানিয়েছেন, মাঠে খুব কম সংখ্যাক মানুষ কাজ করছে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে ঘর থেকে কেও বের হচ্ছে না।
প্রচন্ড তাপ ও রৌদ্রে প্রকোপে বিপর্যস্ত জনজীবনে একপসলা বৃষ্টি এনে দিতে পারে স্বস্তি। তাই এক পসলা বৃষ্টির অপেক্ষায় কলারোয়াবাসী।
আবহওয়া অফিস বলছে, এপ্রিল মাস জুড়ে থাকবে তাপদাহ। ২/১দিনের মধ্যে তাপমাত্র কমার বা বৃষ্টির কোন সম্ভবনা নেই।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]