নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ার সামান্য বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন পাকা সড়কে পড়ে থাকা ইটভাটার মাটি ভিজে পিচ্ছিল হয়ে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।এতে বিপাকে পড়েছে সড়কে চলাচল করা পথচারী ও মোটর সাইকেল আরোহীরা। এতে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টিপাতের ফলে দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটায় মাটি সরবরাহকারী গাড়ী থেকে মাটি পড়ে থাকায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কলারোয়া টু খোরদো সড়কের রানী ভাটা,ছলিমপুর মিনাজ ভাটা, কলারোয়া টু সরসকাঠী সড়কের বামন খালী বাজরস্থ সরদার ভাটা, পাঁচ নল ভাইভা ভাটা ও কলারোয়া টু চন্দরিয়া রোডে কামরুল ভাটা, দমদম ভাটা ও বিশ্বাস ভাটা সহ বিভিন্ন ভাটা সংলগ্ম সড়ক, মহাসড়কসহ একাধিক সড়কে বৃষ্টির পর রাস্তায় পড়ে থাকা মাটি কাঁদায় পরিণত হয়েছে। এতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে কতিপয় ইটভাটার অবৈধভাবে চলা ট্রাক্টর-ডাম্পার, ট্রলি, ট্রাক পাকা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত মাটি নিয়ে বিভিন্ন ইটভাটায় চলাচল করার সময় এসব যানবাহন থেকে মাটি রাস্তায় পড়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইটভাটার ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন যানের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বহন করা মাটি সড়কে পড়ে। শুকনো মৌসুমে সেই মাটি থেকে ধুলোর সৃষ্টি হয়ে বসবাস করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছিল। এখন আবার বৃষ্টি হওয়াতে পাকা রাস্তা গুলো কাদাময় হয়ে পড়েছে। এতে চলাচলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বেড়েছে দুর্ভোগ। বৃষ্টির পানিতে এসব সড়কে এতটাই পিচ্ছিল হয়েছে যে, গাড়ী চলাচল তো দূরের কথা হেটেও চলাচল করা যাচ্ছে না।
ইকবাল নামের এক মোটর সাইকেল আরোহী বলেন, বৃষ্টির পর মহাসড়কে মোটর সাইকেল চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় পড়ে থাকা মাটি বৃষ্টিতে কাঁদায় পরিণত হয়ে তা পিচ্ছিল হয়েছে। অসাবধানতা ভাবে গাড়ী চালালে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত এবং প্রচলিত আইন মেনে ভাটা পরিচালনা করা উচিত। ভাটায় সরবরাহকৃত মাটি রাস্তায় পড়ে রাস্তার যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় দূর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।
মাটিপাড়া এলাকার স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, গত দুই মাস ধরে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইট ভাটার মালিকরা তাদের সারা বছরের ইটের চাহিদা মেটানোর জন্য মাটি সংরক্ষণ করছে। এতে তারা বিভিন্ন ড্রাম ট্রাক, ট্রলি, করে এই মাটি ভাটায় নিয়ে আসছে। ভাটা পর্যন্ত মাটি আসার আগে এই মাটি সাড়া রাস্তায় পড়তে পড়তে আসে। প্রত্যেকটি সড়কেই মাটির স্তুর পড়ে গিয়েছে। শীত মৌসুমে বৃষ্টি না থাকায় সড়কে ধূলাবালীতে দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। আর এখন বৃষ্টিতে এই ধূলাবালি কাঁদায় পরিণত হয়ে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছে। এতে পথচারীসহ মোটরসাইকেল আরোহীদের বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অসতর্ক ভাবে গাড়ী চালালে যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা।
ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালক সুমন ব্যাপারী বলেন, রাস্তায় পড়ে থাকা মাটি বৃষ্টিতে ভিজে কাদায় পরিণত হয়েছে যা খুবই পিচ্ছিল।
উপজেলা নির্বাহী কৃষ্ণা রায় বলেন, বিভিন্ন রাস্তায় মাটি বহনকারী যানবাহনের কারণে বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। সম্প্রতি এই ধরনের পরিস্থিতি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এসেছে।।আমরা দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]