শেখ জিল্লু, কলারোয়া: কলারোয়ায় একই দিনে ভেঙে পড়া বেত্রবতী নদীর ৩ সেতু ও সাঁকো একই অবস্থায় রয়েছে। সচল হয়নি এখনো। কলারোয়ার সাথে পৌরসভাসহ উপজেলার উভয় পাশের ১২ ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতে কার্যত: বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ নদী পারাপারে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ মোকাবিলা করছেন।
শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বেত্রবতীর বেইলি ব্রিজের পূর্ব পাশ দেবে যেয়ে নদীর সাথে মিশে গেছে। লোহার ওই বেইলি ব্রিজের পূর্বপাশের ওপর দিয়ে ৩/৪ ফুট উচ্চতায় পানির স্রোত বয়ে যাচ্ছে। ব্রিজের ওই অংশের সংযোগ সড়কের মাটির ভাঙন বিস্তৃত হয়ে যাচ্ছে। ব্রিজ থেকে বর্তমানে সংযোগসড়ক ৫/৬ ফুট উপরে অবস্থান করছে। টিন দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ব্রিজের পশ্চিম অংশ। এ অবস্থায় নদী পারাপার প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারপরেও কিছু দুঃসাহসী মানুষ জমাটবদ্ধ শ্যাওলার উপর দিয়ে পানির পাইপলাইনে পা ফেলে সন্তর্পণে ডুবে যাওয়া লোহার বিকল্প সেতু ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন।
শুক্রবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্রিজ/ সাঁকো সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি বলে জানা গেছে।
কলারোয়া পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন জানান, তিনি এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী তাকে জানান, আগামী ৩/৪ দিনের মধ্যে বেত্রবতীর বেইলি ব্রিজটি চলাচলের উপযোগী করা হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
অপরদিকে, কলারোয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, বেত্রবতীর ক্ষতিগ্রস্ত ২টি কাঠের সাঁকো সংস্কারের জন্য তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এজন্য প্রাক্কলিত মূল্য নির্ধারণের কাজ চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক হলে তাঁরা সাঁকো সংস্কারের কাজে হাত দিবেন।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে কলারোয়া ডাকবাংলোর পূর্বপাশে বেত্রবতীর দুপারে রশি টানিয়ে সীমিত পরিসরে খেয়া নৌকায় মানুষ পারাপার হচ্ছেন। খেয়া পারাপারের জন্য জনপ্রতি দিনে ১০ টাকা ও রাতে ২০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে বেত্রবতীর ভেঙে যাওয়া সেতুর কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেত্রবতী নদীর ৩ সেতু/সাঁকো পানির তোড়ে ভেসে যায়। ফলে উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মানুষ সহজে কলারোয়া উপজেলা সদরে আসতে পারছেন না। তেমনি নদীর পশ্চিম পারের ৬ ইউনিয়নের মানুষ পূর্ব পারে যেতে পারছেন না। ভুক্তভোগীরা চাইছেন, দ্রুততার সাথে সেতু/সাঁকেগুলো সচল করা হউক।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]