কলারোয়ায় অবৈধভাবে চলছিলো ৫টি বৃহৎ আকৃতির চুল্লিতে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির রমরমা ব্যবসা। ঘটনাস্থল উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া গ্রামের মাঠপাড়ায়। এ খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সেখানে সোমবার সন্ধ্যার একটু আগে অভিযান পরিচালনা করেন। তখনো প্রজ্বলিত ছিলো অবৈধ কয়লা কারখানার চুল্লিগুলো।
সেসময় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশে কয়লা তৈরির ওই কারখানার ৫টি চুল্লির সবগুলোই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এর আগে ফায়ার সার্ভিসের টিম পানি দিয়ে জ্বলন্ত সবগুলো চুল্লির আগুন নিভিয়ে দেয়।
জানা যায়, অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা বানানোর অভিযোগে কারখানা মালিককে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা সুলতানা নীলা ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। যদিও সেসময় ওই অবৈধ কারখানা মালিক পার্শ্ববর্তী যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা গ্রামের আজগর আলীর পুত্র রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছিলো না। সেখানে ছিলো তার এক ভাই।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এ.ডি) সরদার শরিফুল ইসলাম, চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন, কলারোয়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনর ভারপপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, ভূমি অফিস সহকারী প্রণব কুমারসহপরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এসিল্যান্ড তাহমিনা সুলতানা নীলা জানান, বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর আইন ১৯৯৫/৬ গ ধারা ১৫/১ ৬নং ক্রমিক অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে দ্বিতীয় দফায় অবৈধভাবে কয়লা তৈরির কারখানা না করার অঙ্গীকার করায় প্রথমভাবে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, অবৈধভাবে কয়লা তৈরির কারখানা কেউ তৈরি করলে আইনগত শাস্তি ও জরিমানা করা হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]