বাজারে শাকসবজি, কাঁচা মরিচ, চিনি, আটা-ময়দা, ডাল, ভোজ্যতেলসহ একাধিক পণ্যের দাম বাড়তি। এর মধ্যে সব ধরনের মসলার দাম নতুন করে বেড়েছে। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ, চাল, চিনি ও গুঁড়াদুধের দাম আরেক দফা বেড়েছে। বাজারে পণ্য কিনতে এসে ক্রেতাদের যেন নাভিশ্বাস।
শনিবার (২৪ জুন) কলারোয়া পৌরসদরের বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হঠাৎ করে কাচা মরিচ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি ও আমদানি করা আদা বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত , যা গত এক সপ্তাহ আগে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা এবং প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা দরে, যা কয়েকদিন আগেও যথেষ্ট কম ছিল। পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন।
ইতোমধ্যে খুচরা বাজারে আমদানি করা আদার দাম কেজি প্রতি ৩৫০ টাকা হয়েছে। অনেক দিন ধরেই আদা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি জিরার দামও বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। প্রতি কেজি জিরা বর্তমানে প্রায় ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে মসলার দাম কমার সম্ভাবনা নেই, বরং আরও বাড়বে। কলারোয়া বাজারের মুদি বিক্রেতা আফজাল বলেন, চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজিতে। বার্মা আদা প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। চায়না রসুন প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশি শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের কাচা হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা দরে। এই বিক্রেতা জানান, ধনিয়া প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, জিরা ৯০০ টাকা, এলাচ ১ হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি লবঙ্গ ১ হাজার ৫০০ টাকা, দারুচিনি ৪৫০ টাকা ও তেজপাতা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশে বাৎসরিক মশলার চাহিদার ৬০ শতাংশই বিক্রি হয় কোরবানি ঈদকে ঘিরে। ফলে কোরবানি ঈদ যত ঘনিয়ে আসে ততই জমে উঠে মশলার বাজার। তাই টিসিবির মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ কিংবা মসলার বাজার স্বাভাবিক রাখতে কার্যকরী উদ্যোগ দেখতে চান ভোক্তারা।
কলারোয়া বাজারে পণ্য কিনতে আসা জেসমিন হোসেন বলেন, বাজারে এলেই অস্বস্তি লাগে। এই অল্প টাকা দিয়ে কী রেখে কী কিনব, তা ভাবতেই মাথায় হাত উঠে যাচ্ছে। কাঁচা মরিচ কিনতে মাথায় হাত উঠছে। মশলার কথা আর কী বলব। প্রত্যেকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে খেয়ে বেঁচে থাকা বড় দায়। তিনি বলেন, দেশে মসলার বাজার সবচেয়ে বেশি জমে ওঠে কোরবানির ঈদকে ঘিরে। তাই এ সময় সরকারের উচিত টিসিবির মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ কিংবা মসলার বাজার স্বাভাবিক রাখতে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া।
মুদি দোকানি রনি বলেন, পাইকারি বাজারে একটি একটি করে সব ধরনের মশলার দাম বেড়েছে। যে কারণে আমাদের সব পণ্য আনতে বেশি টাকা খরচ হচ্ছে। বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। তবে আমি বিক্রেতা হলেও দিন শেষে আমিও তো ক্রেতা। আমারও কোনো না কোনো পণ্য বেশি দরেই কিনতে হচ্ছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]