দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বাবু: পেশাগত দিক দিয়ে প্রত্যেকে নিজের জায়গায় প্রতিভার বিকাশ ঘটায়। বেতিক্রম হয়নি গাছিদের ক্ষেত্রে, প্রতিবছর শীত এলেই গাছিদের দেখা যায় নিরস খেঁজুর গাছ থেকে বিন্দু বিন্দু রসে কলসি ভরতে। কিভাবে কাটলে, কোন গাছে কত টুকু রস হবে সেটা তাদের নখদর্পনে।
মাঠে, ঘাটে, পথে প্রান্তরে সকালে ও বিকালে নিয়ম করে শীতের মৌসুমটাতে গাছিদের দড়া, ঠুঙ্গি, দা ও ভাড়/ কলসি নিয়ে রসের সন্ধানে খেঁজুর গাছে গাছে তাদের বিচরণ। দুপুরের পরে থেকে গাছ কেটে ভাড়/ কলসি টাঙ্গানো শুরু হয়, সেই ভাড় ও কলসি তে ফোঁটায় ফোঁটায় রসে ভরে ওঠে। খুব ভোরে গাছিরা শিশিরের ঘাস মাড়িয়ে ফুরফৃুরে মেজাজে গাছ থেকে ভাড়/ কলসি ভরা সুমিষ্ট রস নিয়ে আসে বাড়িতে আর সেই সুমিষ্ট রস খেয়ে কেও আত্বতৃপ্ত হন, আবার সেই রস দিয়ে সুস্বাদু পায়েস, পিঠা ও গুড় তৈরী হয়। আর এভাবে গাছিরা তাদের প্রতিভার বহ্বিপ্রকাশ ঘটান।
গত ২৫ নভেম্বর নিলকন্ঠপুরের মাঠ থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে খেঁজুর গাছে রস সংগ্রহের জন্য গাছিরা গাছে এ বছরে প্রথম ভাড় টাঙ্গাচ্ছে, এই রসকে বলা হয় চাচের রস। চাচের রস খেতে ওতোটা মিষ্টি না হলেও রসের পরিমান বেশি হয়। আর এ রস থেকে যে গুড় তৈরী হয় সেটির ঘ্রান খুবি সুন্দর, চিহিদাও বেশি।
কলারোয়ার নীলকন্ঠপুর গ্রামের গাছি হোসেন আলীর সাথে কথা বলে জানাগেছে, তিনি প্রতিবছরের মত এ বছরও খেজুর গাছ কাটছেন। তবে এ বছর ৮০ টি খেজৃুর গাছ কেটেছেন তিনি। যা নিজের পরিবারের রস ও গুড়ের চাহিদা মিটিয়ে ৩০/৪০ হাজার টাকা বিক্রি হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। আরও জানান, এ বছর খেজুরের রস গুড়ের চাহিদা বাজারে খুবি ভালো।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]