আসাদুজ্জামান ফারুকী: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা যুব জামায়াতের বর্ণাঢ্য আয়োজনে ভাষা শহীদদের স্মরণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা দিনব্যাপী ব্লাড গ্রুপিং ও মেডিকেল ক্যাম্প কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৮টায় কলারোয়া হাইস্কুল ফুটবল মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির কার্যক্রম শুরু হয়। পরে সেখানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে বহু মানুষ চিকিৎসা সেবা নেন।
যুব জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মুঃ শামসুল আলম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান মিঠুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা কামারুজ্জামান, পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক ইউনুস আলী বাবু, সেক্রেটারি মাওলানা আলমগীর হোসেন, বিশিষ্ট ব্যাংকার জাকির হোসেন, যুবনেতা হাফেজ মফিজুল ইসলাম, মোঃ আতিকুর রহমান, মাওলানা ফিরোজ হোসাইন আজাদী, আব্দুল কাদের, জাহিদুল ইসলাম, তামজিদ হোসেন প্রমুখ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ বলেন, এটি শুধু একটি ভাষা আন্দোলনই নয় বরং এটি ভিনদেশী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি জলজ্যান্ত উদহারন। এছাড়াও তিনি ভাষা আন্দোলনের অন্যতম মহানায়ক গোলাম আযমকেও স্মরণ করেন।
তিনি আরো বলেন, অধ্যাপক গোলাম আযম রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ডাকসুর নির্বাচিত জি.এস হিসেবে লিয়াকত আলী খানের কাছে স্মারক লিপিও পেশ করেছিলেন।
তিনি ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে বারবার গ্রেফতার, কারাবরণ ও কলেজের চাকরি হারিয়েছিলেন। কিন্তু হীনমন্যতার কারণে তাকে মূল্যায়ন করা হয়নি বরং ডাকসুর জিএসদের নাম ফলক থেকে তার নাম মুছে ফেলা হয়েছে। কিন্তু ফলক থেকে নাম মুছে ফেলেই দেশ, জাতি ও ভাষা আন্দোলনে তার অবদান মুছে ফেলা যাবে না।’
তিনি হীন্যমনতা পরিহার করে সরকারকে অধ্যাপক গোলাম আযমের প্রাপ্য সম্মান দেয়ার আহ্বান জানান।
অধ্যক্ষ মুহাঃ ইজ্জত উল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র—জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ ও জাতি নতুন দিশা পেলেও দেশ এখনো বৈষম্যমুক্ত হয়নি। এমন দিশা আমরা ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর পেয়েছিলাম। ওই দিন সিপাহী—জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে আধিপত্যবাদ মুক্ত করেছিল। কিন্তু সে ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি। বিগত প্রায় সাড়ে ১৫ বছর দেশ ও জাতির ঘাড়ে আওয়ামী স্বৈরাচারের জগদ্দল পাথর চেপে বসেছিল। দেশকে পরিণত করা হয়েছিল জুলুম—নির্যাতন, খুন—ধর্ষণ এবং দুর্নীতি—লুটপাটের অভয়ারণ্যে। কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে জাতীয় নেতাদের একের পর এক হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু আগস্ট বিপ্লবের পরও আজও বৈষম্য দূর হয়নি। সকল রাজবন্দী মুক্তি লাভ করলেও অসুস্থ জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন।’
তিনি আবিলম্বে জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি, দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
আলোচনা শেষে সকাল দশটায় যুব বিভাগের বর্ণাঢ্য র্যালি কলারোয়া বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলারোয়া ফুটবল মাঠে শেষ হয়।
২য় সেশনে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা দিনব্যাপী ব্লাড গ্রুপিং ও মেডিকেল ক্যাম্প কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]