কে এম আনিছুর রহমান, কলারোয়া (সাতক্ষীরা): সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যৌতুকের টাকা দিতে না পারা এবং পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় এক গৃহবধুকে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করেছেন ওই গৃহবধু।
রোববার (২০ জুলাই) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার মানিকনগর গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে ওই গৃহবধু মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বিগত ২০১৪ সালের আগস্ট মাসের ১ তারিখে একই উপজেলার পারিখুপি গ্রামের মৃত মহব্বত আলীর ছেলে আরিফ হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ব্র্যাকে স্বামীর চাকুরি হওয়ার সুবাধে তারা ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর উপজেলার জিন্নানগরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। এরই মধ্যে তাদের কোল জুড়ে আসে এক কন্যা সন্তান। সেখানে দীর্ঘ ৭ বছর তারা দুইজন ভালই ছিলো। এরপর প্রায় সময় তাকে কারণে অকারণে মারপিট করে।
এক পর্যায়ে তিনি জানতে পারেন তার স্বামী পরকিয়ায় লিপ্ত হয়েছে। প্রতিবাদ করলে তাকে আরো শারীরীক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। বিষয়টি তিনি পিতা-মাতাকে জানালে উভয় পক্ষ বসে ওই পরকীয়া করা মেয়ের পরিবারকে জরিমানা দিয়ে নিস্পত্তি করা হয়। তবে এ ঘটনায় তার স্বামীর ব্র্যাকের চাকুরীটি চলে যায়।
মামলায় আরো বলা হয়, এরপর তার স্বামী আরিফ হোসেন বেশ কিছুদিন ভাল ছিলো। মাস খানেক পর যৌতুকের দাবিতে শারীরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। বিষয়টি তিনি তার পিতাকে জানালে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে নগদ ৫ লক্ষ টাকা জামাইকে প্রদান করেন। এছাড়া বিয়ের সময় স্বামীকে স্বর্ণের আংটি, চেইন, মোটরসাইকেল ও তৈজসপত্রসহ ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এরপরও আবার শুরু করে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে পরকীয়া। প্রতিবাদ করলেও শারীরীক ও মানসিক নির্যাচন চালানো হয়। এরই মধ্যে তার স্বামী ওই এলাকায় বেসরকারী এনজিও শাহাজাদা ফাইন্ডেশনে চাকুরিতে যোগদান করে। চাকুরী পাওয়ার পর থেকে তার ও মেয়ের প্রতি নির্যাতন বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে গত রমজান মাসে আমার ও আমার মেয়েকে এক বস্ত্রে তাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে কোন যোগাযোগই রাখে না। এমনকি মেয়ের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে সাতক্ষীরা আদালতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হই। এরই মধ্যে তিনি জানতে পারেন তার স্বামী আরিফ হোসেন মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে জেসমিনের সাথে বিয়ে করেছেন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান লিখিত প্রত্যায়নের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। তাই তার স্বামীর শান্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ ঘটনায় আরিফ হোসেন জানান, বিষয়টি সঠিক নয়। আমাকে হয়রানী করার জন্য আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]