কলারোয়ার জুয়ার ডন খ্যাত শহিদুল ইসলাম গামার নেতৃত্বে পবিত্র রমজান মাসেও চলছে রমরমা জুয়ার আসর।
কলারোয়া উপজেলা সদরের শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজের অদূরে ইউরেকা পেট্রোল পাম্পের নিকটে ইটভাটার মধ্যে দিনে দুপুরে চলছে এই জুয়া খেলা।
স্থানীয় কিছু জুয়াড়িদের পাশাপাশি যশোর, মনিরামপুর, কেশবপুরের কিছু সন্ত্রাসী দাগী পলাতক আসামীরা নিয়মিত এই জুয়ার আসর মাতিয়ে রাখেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ইতোপূর্বে একাধিকবার কলারোয়া থানা পুলিশের অভিযানে চিহ্নিত জুয়া আসরের হোতা শহিদুল ইসলাম গামা গ্রেফতার হয়। তবে গত ৬মাস পুর্বে কলারোয়া থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দীন মৃধা নিজ অর্থায়নে গামাকে নগদ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কলারোয়া থানা গেটের পাশে সরকারি রাস্তার ধারে ফলের একটি দোকান করে দেন। সেখানে গামাকে কিছুদিন ব্যবসা করতে দেখা গেলেও ওসি নাসির উদ্দীন মৃধা বদলী হয়ে চলে যাওয়ার সাথে সাথে গামা নিজেকে আবার বদলিয়ে ফেলে আবার সেই অপরাধ জগতে চলে গেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সকল ব্যবসায়ীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও চুরিচামারি রোধে গামাসহ জুয়ার আসর পরিচালনাকারী ও জুয়া ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, থানা গেট থেকে চৌরাস্তা অভিমুখের রাস্তাটি সংকির্ণ। ওই রাস্তা দিয়ে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা ও সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। সেই সংকির্ণ রাস্তার অংশ দখল করে গামার মতো চিহ্নিত জুয়া ব্যবসায়ীকে দোকান করে দেয়া সেসময় অনেকেই আইওয়াশ বলে অবিহিত করেছিলো। এক জুয়ারীকে রাস্তার দখল করে কাঠের দোকান করে দেয়ার ফলে ওই রাস্তার পুরোটাই অন্য ক্ষুদ্র দোকানীরা সুযোগ পান। ফলে সংকির্ণ ওই রাস্তার পূর্ব পাশে থানার প্রাচির বরাবর অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠেছে। এতে ওই রাস্তায় ভিড় ও যানজট লেগেই থাকে। পুলিশ যেখানে রাস্তার পাশের অবৈধ দখলমুক্ত করবে সেখানে আয়োজন করে দখল করিয়ে দেয়া ভালো চোখে দেখেনি স্থানীয়রা। বিভিন্ন হয়রানীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পায় না।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]