সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দায়িত্বহীনতার অভাবে রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের খুটি রেখে কলারোয়া টু খোরদো সড়কে কার্পেটিং এর কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
গতকাল ( ১৭ই জুন) শনিবার সরজমিনে এমননি অবস্থা দেখা গেছে খোরদো সড়কের বাজার সংলগ্ন ইয়ারআলী মোড়স্থ রাস্তার উপর উচ্চ ভোল্টজের বিদ্যুৎ লাইনের ১১টি খুটি রাস্তার মধ্যে রেখেই রাস্তার সাইড বাড়ানো বা প্রশস্তকরণের কাজ সম্পন্ন হয়। এর আগে মহামারী করোনা ভাইরাসের সময় খুটিগুলোকে ঘিরে রাস্তার প্রশস্তকরণের খোড়াখুড়ি ইট, বালু, খোয়া বিছানো ও রাস্তার রোলানিং কাজ করা হয়েছে। তখনো বিভিন্ন মিডিয়াকর্মীরা এই বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও এলজিডিআই উদ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন খুব দ্রুতই কাজটি সম্পন্ন হবে। কিন্তু সড়কের কাজ শেষ হয়ে গেল কিন্তু বিদ্যুতের খুটি উঠানো হলো না।
এলাকাবাসীরা জানান, আমরা ঝুঁকির মধ্যে প্রতিদিন এ সড়কে দিয়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচল করছি। রাস্তার উপরে বিদ্যুতের খুটি থাকলে যে কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।কারন শতশত গাড়ি এ সড়ক যাতায়াত করে। তাছাড়াএ কারনে সড়কের নির্মাণ কাজ ভালো হয়নি। পথচারী আলতাব হোসেন জানান, রাস্তার উপর বিপজ্জনক খুঁটি রেখেই সড়কের নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করল সংশিষ্টরা কিভাবে?
কলারোয়া উপজেলা প্রকৌশলী সুদীপ্ত কর দীপ্ত জানান, আমরা রাস্তার বাড়ানোর টেন্ডার দেওয়ার আগে পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের নিকট খুঁটি সরানো জন্য লিখিত আবেদন করেছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ তারপরেও সেগুলো সরিয়ে নেয়নি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এস্টিমেটে কুটির সরানোর কোন ডিমান্ড দেওয়া হয়নি। তাছাড়া দীর্ঘদিন যাবত এই কাজটা শেষ হয়নি, হাতের সময় না থাকার কারণে জুনের ভিতরে কাজটি শেষ করতে বিধায় খুটি রেখেই আমরা কাজটি সম্পন্ন করেছি।এই কাজটি বাস্তবায়ন করতে সরকারের ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। প্রথমেই এই রাস্তা বাস্তবায়ন জন্য ম্যাকাডমের কাজ করছিল ঢাকার টি-বক্স নামে একটি কনস্ট্রাকশন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এই কোম্পানি শেষ পর্যন্ত কাজ করতে ব্যর্থ হয়। তবে রটি, বক্স ঠিকাদার কোম্পানির প্রকৌশলী সোহান জানান, বৈদ্যুতিক খুঁটির তারে বিদ্যুৎ সঞালন চলছে তবুও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে আমরা ৬০ ভাগ কাজ শেষ করেছি। আমরাও পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম বরাবর আবেদন করেছি কিন্তু কোন কাজের সাড়া পায়নি।
উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম ওবায়দুল হক জানান, আমরা উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এর কাছে খুবই সরানোর ডিমান্ড দিয়েছিলাম কিন্তু তারা কোন ডিমান্ড আমাদের দেয়নি। তবে এখনো খুঁটি সরানো প্রক্রিয়া চলছে। খুব দ্রুত সরিয়ে নেয়া হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]